অবতক খবর,১৪ জানুয়ারিঃ স্বদেশী গানে পুরাতনী গানে বাঙালির জীবনযাত্রায় সাংস্কৃতিক ইতিহাসে সবিতাব্রত দত্ত একটি নাম।

আমরা বোধ করি তাকে ভুলেই গেলাম!

সে কয়েকবার দেশাত্মবোধক গান ও চারণ সংগীত গেয়ে গিয়েছে কাঁচরাপাড়ায় কবিগুরু রবীন্দ্র পথে বাঁধা মঞ্চে। সেই গানের আসরের আয়োজন করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিবেকানন্দ দাতব্য চিকিৎসালয়।

রূপকার 

তমাল সাহা

গঙ্গা সিন্ধু নর্মদার জলধি তরঙ্গ কণ্ঠস্বর তুলে আনো তুমি

গাইতে থাকো দশ হাজার প্রাণ আমি যদি পেতাম

জানি না তাহলে কি করতে তুমি?

এমন চেতনায় সঞ্জীবিত হতো কী আত্মবলিদান!

ভয় কি মরণে সুর ধরলেই বিস্তৃত কন্ঠের মূর্ছনা বাতাসে ছড়িয়ে যেত কলতান

চল চল ভারত সন্তান মাতৃভূমি করে আহ্বান।

তোমার উপলব্ধে কবি মুকুন্দ দাসের প্রতিমূর্তি

তোমার কন্ঠে যে শোনেনি স্বদেশি গান

সে স্বদেশপ্রেমিক কিনা সন্দেহ থেকে যায়।

তুমি একদিন মত্ত তুফান তুলে গান গিয়েছিলে আমাদের পাড়ায়।

রূপকার তুমি,

বারবার পোশাক পাল্টাও

কখনো এন্টনি কবিয়াল, জাত ফিরিঙ্গি ছেড়ে কবি হয়ে যাও

কখনো চারণ মুকুন্দ দাস সিনেমায়

আবেগী কন্ঠে–ছেড়ে দে রেশমি চুড়ি বঙ্গনারী গান গাও।

লালন ফকির হয়ে কে বসত করে আরশিনগরে, এ খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়

বিদ্রোহী নজরুল তুমি, নটরাজের উদ্দাম নৃত্য থরথর পৃথ্বী কাঁপায়।

বহুরূপী!

রক্তকরবীর বিশু পাগল, চার অধ্যায়ের অতীন্দ্র হয়ে মাতিয়ে দিয়েছ অভিনয়

ব্যাপিকা বিদায়, নিধুবাবুর টপ্পায় সেইসব সেকালে গান কখনো কি পুরাতন হয়?

রাহুমুক্ত যাত্রায় দরাজ গলায় গান;একি শুধু গান?

তোমার কন্ঠে বেজে ওঠে মুক্তির অভিমুখী অভিযান।

কতসব মানুষ পারের কড়ি নিয়ে আসে আর যায়!

এইসব মানুষকে পৃথিবী একবারের বেশি কি পায়?