অবতক খবর,মালদা;সানু ইসলাম;১৩মে: স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে মানসিক অশান্তির জেরে প্রাণ গেল ১৯ বছরের এক তরতাজা যুবকের।বাড়িতে শোয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার।পরিবারের লোকের অভিযোগ তিন বছরের বিবাহিত জীবনে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকতো।স্ত্রী অশান্তি হলেই বাড়ি থেকে চলে যেত। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও অশান্তি নিয়ে ছেলেকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক চাপ দিত।সেই মানসিক চাপের জেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ছেলে।এমনটাই অভিযোগ মৃত ওই যুবকের বাড়ির লোকের।বৌমা এবং তার বাবার বাড়ির লোকেদের শাস্তির দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত যুবকের বাবা।সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভাগ বড়োল গ্রামের ঘটনা।

ওই গ্রামের বাসিন্দা বিকি দাস(১৯)। তিন বছর আগের পার্শ্ববর্তী চাঁচল শহরের বাসিন্দা পায়েল দাসকে বিয়ে করে বিকি। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক থেকেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। কিন্তু বিবাহিত জীবন মোটেই সুখকর ছিল না। পরিবার সূত্রের খবর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পায়েল এবং বিকির মধ্যে প্রায় অশান্তি লেগে থাকতো। অশান্তি হলেই পায়েল বাড়ি ছেড়ে চলে যেত।সেই নিয়ে পায়েলের বাবার বাড়ির লোকেরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিত বিকিকে। প্রত্যেকবারই বিকির পরিবারের লোকেরা পায়েলকে বুঝিয়ে বাড়ি আনতো।চেষ্টা করত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মধ্যস্থতা করার।

কিন্তু তারপরেও অশান্তি মেটেনি।অবশেষে মানসিক অশান্তির জেরে চরম সিদ্ধান্ত নিল বিকি।শনিবার সকালে বাড়িতে তার শোয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের এই ভাবে মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। বিকির বাবা ফুল কুমার দাস দিন মজুরের কাজ করে। দিন আনে দিন খাওয়া পরিবার। এই ভাবে ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না বাবা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।তার অভিযোগ তার ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। বৌমা এবং তার পরিবারের লোকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ফুলকুমার বাবু। পাড়া-প্রতিবেশীরাও ক্ষুব্ধ এই ঘটনায়। এই ভাবে তরতাজা যুবকের প্রাণ যাওয়ায় তারাও পায়েল দাসের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

মৃত যুবকের বাবা ফুলকুমার দাস বলেন, বৌমা মাঝে মাঝে চলে যেতো বাড়ি ছেড়ে।আমরা ফিরিয়ে আনতাম।আমার ছেলেটাকে মানসিক অশান্তি দিয়ে শেষ করে দিলো।ওর বাবার বাড়ির লোকেরা মাঝে মাঝেই হুমকি দিত।ওদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

মাঝেই মাঝেই দেখা যাচ্ছে প্রেম বা বিবাহিত জীবনে মানসিক অশান্তির জেরে চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যুবকরা।চলে যাচ্ছে প্রাণ।এই ঘটনা পরক্ষভাবে খুন।মানসিক চাপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করানো হচ্ছে।কিন্তু আড়াল থেকে যাচ্ছে দোষীরা।এমনটাই মত এলাকাবাসীর।