স্টেশনের হকারদের ওয়ার্নিং এবং অবৈধ নির্মাণ ভাঙচুর করল আরপিএফ

অবতক খবর,২৭ ফেব্রুয়ারিঃ আজ বীজপুরে অ্যাকশন মোডে আরপিএফ এবং সেকশন ইঞ্জিনিয়াররা। আজ কাঁচরাপাড়ার একাধিক জায়গায় হানা দিল আরপিএফ। কোথাও অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হলো,আবার যেখানে রেলের জমিতে দখলদারি রয়েছে সেখানে সেখানে ওয়ার্নিং দেওয়া হলো,তো কোথাও উঠে যেতে বলা হলো।

প্রথমে কাঁচরাপাড়া কাঁপা মোড় সংলগ্ন অঞ্চলে রেলের জমিতে নতুন করে যেসব অবৈধ নির্মাণ হচ্ছিল, সেখানে তারা হানা দেন। সেখানে দেখা যায় রেলের জমিতে ঝা চকচকে দোকোন। শুধু তাই নয়,ঢালাই দিলে একের পর এক দোকান বেআইনিভাবে গড়ে উঠছিল।

আজ সকালে আরপিএফ এএসআই পি.সি ওরান এবং সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার অরিন্দম চক্রবর্তী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা অভিযান চালায়। সর্বপ্রথম মতু অধিকারী নামক এক ব্যক্তির মিষ্টির দোকানে ভাঙচুর চালায় আরপিএফ।

সেকশন ইঞ্জিনিয়ার অরিন্দম চক্রবর্তী তিনি বারংবার ফোনে একটিই কথা বলছিলেন,’এখানে রেলের জায়গায় ঝা চকচকে দোকান রয়েছে। ভাঙতে ফোর্স লাগবে, দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। আজ সমস্তটা ভেঙে দিয়ে আমরা এখান থেকে যাবো।কারোর কোন কথা শোনা হবে না।”

কাঁচরাপাড়া ৩ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এই অঞ্চল। যেখানে আজ এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙেছে আরপিএফ। ঠিক এই ঘটনাস্থলের অদূরেই রেলের জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছিল একটি বিউটি পার্লার। সেটাও ভেঙে দেয় আরপিএফ।

বাদ বাকি যে সকল দোকান সেখানে রয়েছে,সেই দোকানের মালিকদের দ্রুত দোকান খালি করে দেওয়ার ওয়ার্নিং দেওয়া হয়।

অন্যদিকে আরপিএফ -এর এএসআই ভি.কে সিং এবং জেই লক্ষ্মণ মজুমদার তাঁদের উদ্যোগে ও বীজপুর পুলিশের সহযোগিতায় কাঁচরাপাড়া স্টেশনের ১ এবং ২ নং প্ল্যাটফর্মের দোকানগুলোতে মৌখিকভাবে তারা বললেন,”আপনাদের চিঠি দেওয়া হবে। আপনারা সতর্ক হোন এবং দোকান ছাড়ার প্রস্তুতি নিন। কারণ এটি জায়গা। উচ্চ মহলের নির্দেশ,রেল প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। যেহেতু মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে,সেই কারণে মৌখিকভাবে জানানো হলো। আগামীতে চিঠি দিয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না।”

অন্যদিকে এ বিষয়ে জেই লক্ষ্মণ মজুমদার জানান,”উপর মহলের নির্দেশ রয়েছে সমস্ত জায়গা দখলমুক্ত করার। সেই কারণে আজ আমরা সমস্ত হকারদের আল্টিমেট দিয়ে গেলাম।”

সেই সময় উপস্থিত ছিলেন হকার ইউনিয়ন নেতা সুনীল মিত্র।

তিনি বলেন,”পুনর্বাসন না দেওয়া পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়ব না। আমাদের এইভাবে উচ্ছেদ করা যাবে না। দীর্ঘ বছর ধরে বহু মানুষ একা ব্যবসা করছেন। তাদের কাজ বলে যাওয়া এবং আমাদের কাজ ব্যবসা করা।”