রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া ::     কোভিড-১৯ ও লকডাউনের জেরে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ স্কুল। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এই লকডাউনের মধ্যে অনলাইন ক্লাসের বন্দোবস্ত করে। এই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমেই পঠন পাঠনের ব্যাবস্থা করা হয়। এই অনলাইন ক্লাস করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের ফিস চায় ছাত্র ছাত্রীদের বাবা-মায়ের কাছে। স্কুলের মাসিক যে ফিস সেই নিয়ে অভিভাবকরা আজ বিক্ষোভ দেখায় রাস্তা অবরোধ করে তারা। তারা আজ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

অভিভাবকদের অভিযোগ এই লকডাউনের মধ্যেও স্কুলগুলো তাদের ফিস চাইছে। লকডাউনের জেরে তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। তাদের দাবি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে স্কুলগুলো তাদের প্রাপ্য ফিস নিক। তারা রাজ্যের সরকারকেও এই বিষয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের দাবি জানায়।

পাশাপাশি আজকের এই অভিভাবকদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানায় ডোমজুর মন্ডলের বিজেপির কর্মীরাও। তাদের দাবি সাধারণ মানুষের এই আর্থিক সংকটের দিনে স্কুলগুলো যেভাবে ফিস দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে সেটা ঠিক নয়। রাজ্য সরকারের অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিৎ। তাদের আরো দাবি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাসক দলের নেতাদের কাটমানির জন্য স্কুলগুলো তাদের ফিস নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারছে না। তারা আরো অভিযোগ করে স্কুল যেহেতু বন্ধ তাই ল্যাব কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যাবহার হচ্ছে না। তাই স্কুল গুলো শুধু টিউশন ফিস নিক অনলাইন ক্লাসের জন্য। কেন তারা এখনো আগের মতোই স্কুল ফিস নিচ্ছে সেটা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে বিজেপির তরফ থেকে। আজ তারা ডোমজুর ব্লকের বিডিও র কাছে এই মর্মে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা জানান। এবং বলেন যদি সরকার অবিলম্বে ব্যাবস্থা না নেয় তাহলে আগামীদিনে অভিভাবকেরা আরো বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।

এই বিষয়ে ডোমজুড় ব্লকের বিডিও রাজা ভৌমিক জানান স্কুল ফিস নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে নির্দেশিকা জারি করেছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারী স্কুলগুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের থেকে। তিনি আশা করেন সমস্ত স্কুল সেই নির্দেশিকা মেনেই কাজ করবে। তিনি দাবি করেন এখনো অব্দি ডোমজুড় ব্লকের কোনো নির্দিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করেন নি। তার কাছে কোনো স্কুল সম্বন্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তিনি এই বিষয়ে ব্যাবস্থা নেবেন। তিনি আরো বলেন তার ব্লকে স্কুলফিস নিয়ে অভিযোগ এলে তিনি শিক্ষা দফতরের সাথে কথা বলে তার প্রশাসনিক স্তর থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তিনি নেবেন।