অবতক খবর,১৯ সেপ্টেম্বরঃ শ্যামনগর নাথবাগানের বাসিন্দা বছর ১৭ এর প্রীতম সরকারকে মানসিক অবসাদের কারণে সোদপুরের এক নেশা মুক্তি কেন্দ্রে কাউন্সিলিং এর জন্য ভর্তি করা হয় এপ্রিল মাসে।

নেশা মুক্তি কেন্দ্রের তরফ থেকে পাঁচ মাস কাউন্সিলিং এর কথা জানানো হয়।প্রীতম তার পরিবারকে জানিয়েছিল দুর্গা পুজোতে সে বাড়ি যাবে।আজ দুপুরে হঠাৎ ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে প্রিতমের শ্যামনগরের বাড়িতে তার পরিবারের কাছে ফোন যায়। ফোনে বলা হয় তাদের ছেলের শরীর অসুস্থ।তার ঠিক ১৫ মিনিট পর ফের ফোন করা হয় তার পরিবারের লোককে এবং সেই সময় বলা হয় সাগর দত্ত হাসপাতালে তার পরিবারের লোকজনদের চলে আসার জন্য।

প্রিতমের পরিবারের লোকজন সাগর দত্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় প্রীতম সরকার মারা গিয়েছে।চিকিৎসকরা মৃতদেহ দেখে তার পরিবারকে বলে নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে মৃত অবস্থায় প্রীতমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

মৃত যুবকের বাড়ির লোকের অভিযোগ মৃতদেহ দেখে তাদেরকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে বিষ খাইয়ে অথবা পিটিয়ে মারা হয়েছে,ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কামারহাটি ও খরদহ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী,মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের তরফে কোনরকম কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, মৃত্যুর গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিশ।