প্রেমে পড়ে গিয়েছিল স্বামী পরিত্যক্তা মঙ্গলা গোস্বামী এবং বিপত্নীক সনাতন ঠাকুর।সনাতন প্রাক্তন হোমগার্ড। পরে কীর্তনীয়া ঝাড়ফুঁক, বশীকরের কারবারি। পুরুলিয়ার ভুল- সতেরো গ্রামে মঙ্গলা এবং নদীয়াড়া গ্রামে থাকতো সনাতন। প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মঙ্গলার তিন বছরের শিশুকন্যা সুপ্রিয়া। তার বুকে পেটে যৌনাঙ্গে ছুঁচ ফুটিয়ে নির্যাতন করা হয়। ১১জুলাই, ২০১৭ তাকে ভর্তি করা হয় বাঁকুড়া হাসপাতালের। পরবর্তীতে ১৭জুলাই এসএসকেএম হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর তার দেহ থেকে সাতটি ছুঁচ বার করা হয়। ২১ জুলাই শিশুকন্যাটি মারা যায়। আজ২১ সেপ্টেম্বর,২০২১ বিচারক রায় দিয়েছেন। মঙ্গলা গোস্বামী এবং সনাতন ঠাকুরের ফাঁসির আদেশ হয়েছে।

সূচিশিল্প
তমাল সাহা

মনে আছে, মনে আছে
এই ধ্রুপদী সূচিশিল্পের কথা।
সে তো দারুণ মর্মব্যথা!

হায়! দেখো
ভালোবাসা যায় কত গভীরে।
জাতকের চেয়ে
এই ‘পবিত্র প্রেম’ কত বড়
তিলে তিলে নির্মল শিশু হত্যা করে।

হায়! মা স্বর্গাদপি গরিয়সী
তোর চোখের সামনে এখন
লোমশ জল্লাদের হাত,
কাঠের পাটাতন, ঝুলন্ত রজ্জু—
ফাঁসি।