অবতক খবর,২১ এপ্রিল,ব্যারাকপুর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ রয়েছে পুকুর বা জলাশয় ভরাট করা চলবে না। বেআইনি ভাবে ডোবা জলাশয় ভরাট করে আবাসন নির্মাণ করা চলবে না।

প্রখর গরমের দাবদাহে চারিদিকে ডোবা বা জলাশয় বদ্ধ ভূমি তে আবদ্ধ। ঠিক সেই সময় নিউ বারাকপুর পুরসভার ৭নং ওয়ার্ডে পশ্চিম মাসুন্দা এলাকায় তৎকালীন সিপিএমের আমলে কয়েক বিঘা জায়গায় জলাশয় বুজিয়ে আবদ্ধ ভূমিতে দূষিত দুর্গন্ধ পরিনত করে অব্যবহার যোগ্য করে তোলে বলে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের অভিযোগ।

এলাকার বেশ কিছু পরিবার মা বোনেরা নিউ বারাকপুর পুরসভায় গিয়ে পুরপ্রধানের কাছে আবেদন করলে শুক্রবার পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর গিয়ে সরেজমিনে জলাশয় ভরাট চারিদিকে ঘুরে দেখেন।তার ভিত্তিতে পুরপ্রধানের কাছে রিপোর্ট দেন। পুরসভার পুরপ্রধানের নির্দেশে শনিবার সকাল থেকে জেসিপি দিয়ে বদ্ধ জলাশয় সংস্কার সাধন করে স্তূপাকৃতি নোংরা আর্বজনা জঞ্জাল তোলার কাজ শুরু হতেই এলাকাবাসীর চোখে মুখে হাসি স্বস্তির নিঃশ্বাস। নিউ বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবীর সাহা বলেন পুরসভা জলাশয় বা পুকুর ভরাট বরদাস্ত করবে না। পুরসভা পুকুর ভরাটের বিপক্ষে।

বিগত বাইশ বছরের সিপিএমের আমলে ভরাট করা পুকুর পুরসভা প্রশাসন নতুন ভাবে জেসিপি দিয়ে খনন করে নোংরা আর্বজনা মাটি জঞ্জাল তুলে ফেলে সংস্কার করে এলাকার মানুষের ব্যবহার যোগ্য করে তোলার কাজ শুরু করল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবেশ দপ্তর ও গ্রীন সিটি মিশন প্রকল্পের সহযোগিতায় পুকুরের সৌন্দর্যায়ন করে ব্যবহার যোগ্য করা হবে। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে ।

ইতিমধ্যেই পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডে সিপিএমের আমলে বোজানো পুকুর সংস্কার করে সৌন্দর্যায়ন আধুনিকিকরন করা হয়েছে। বিগত বাম জমানায় পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডে সিপিএমের বর্তমান এলসিএস এর নেতৃত্বে পুকুর ভরাট করে বাড়ি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

এবার ৭ নং ওয়ার্ডের এলাকার বেশ কিছু পরিবার মা বোনেদের দাবি কে মান্যতা দিয়ে বদ্ধ জলাশয় কে নতুন ভাবে সৌন্দর্যায়ন ও ব্যবহার যোগ্য করে সুন্দর পরিবেশ উপহার তুলে দেওয়া হবে।ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কিছু পুকুর কে সৌন্দর্যায়ন আধুনিকিকরন করে মানুষের ব্যবহার যোগ্য করে তোলা হবে বলে জানান পুরপ্রধান।