অবতক খবর,২১ জুলাইঃ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিউটাউনে তার বাসভবন থেকে দলীয় কর্মসূচিতে হাওড়া ও বর্ধমান যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর জয় পশ্চিমবঙ্গে কিভাবে পালন করা হবে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমরা প্রতিটি মন্ডলে এই জয়কে সেলিব্রেট করব আমাদের কর্মী সমর্থকরা শুরু করে দিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামে গিয়ে তাদের সাথে এই আনন্দে শামিল হব স্বাধীনতার এত বছর পর যে শ্রেণীর মানুষরা সারা বছর কাজ করে গেছেন মুখে কিছু কথা বলেননি তাদের মুখের ভাষা ভারতবাসীর সামনে আনার জন্য সাংবিধানিক সর্বোচ্চ পদে বসেছেন।

একুশে জুলাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ঐতিহাসিক শহীদ সমাবেশ হতে চলেছে প্রসঙ্গে তিনি বলেন,প্রথম কথা হচ্ছে এটা হাইজ্যাক করা শহীদ দিবস, আর বড় হচ্ছে কিনা কালকে বিষ মদ খাইয়ে যে বিষমদ থেকে দেশি মদ থেকে এক টাকা থেকে দেড় টাকা প্রতি বোতল তৃণমূল কংগ্রেসের ভাইপোর কাছে পৌঁছায় তার ফলে এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে ১১ জন মানুষ মারা গেছেন সঠিক সংখ্যা এখনও আমরা জানতে পারছি না প্রশাসন এই সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারই সেলিব্রেশন হচ্ছে একুশে জুলাই।

মেনোকা গান্ধী শহরে রয়েছেন এবং শোনা যাচ্ছে তারা একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেটা তাদের ব্যাপার তারা কোথায় যোগদান করবেন বিজেপির এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।

হাওড়া বিষমদ কাণ্ডে তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,দেখুন বারবার পশ্চিমবঙ্গে দেশি মদ খেয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ। কারা মারা যাচ্ছে? গরিব মানুষ মারা যাচ্ছে এবং প্রত্যেকটি মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ আছে। এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ আস্তে আস্তে জোগাড় করার চেষ্টা করছি আমাদের কাছে খবরও এসেছে প্রতি বোতলে টাকা তোলার জন্য তার সাথে এক্সাইজ অফিসার যারা অনৈতিকভাবে দুই টাকা করে তুলছে সেই টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছেছে।

তার ফলে মদের দাম ৩০ টাকা হওয়া উচিত ৩৪ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের লাভ করার জন্য সেই ভাটির মালিকদেরকে কাঠে ভার্নিস করার সময় ব্যবহার করা হয় সেই স্পিরিট মেশাতে হচ্ছে,মদের সাথে মৃত্যু এমনি হচ্ছে না।এটা খুন। এইভাবে গরিব মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। আগামী দিনে আরো যে সমস্ত গরিব জেলা আছে পুরুলিয়া,জঙ্গলমহল যেসব জেলায় অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ তাদের আরো এই ধরনের মৃত্যু ঘটবে, আমি এই ধরনের ভবিষ্যৎবাণী করলাম মিলিয়ে নেবেন।

বর্ধমানের পর আবার হাওড়ায় বিষ মদের ছায়া রাজ্যে প্রায় এধরনের ঘটনা কেন ঘটছে? এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমি আগেই বলেছি প্রতি বোতলে যে পরিমাণ টাকা তোলা হচ্ছে তোলাবাজির জন্য,সেই টাকা এর আগে খবর হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে যারা ভাটির মালিকদের কাছ থেকে তুলে আনছেন টাকা।সেই ব্যবসায় লাভের অংক বাড়াতে গিয়ে সেই সমস্ত মালিকেরা তারা স্বাভাবিকভাবে রং করা স্পিরিট কেমিক্যাল যেটা খেলে খুব নেশা হয় যার মাধ্যমে চরম নেশা হবে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খারাপ তার ফলে মারা যাবে।তাই ঘটছে আগামী দিনেও হবে যদি তোলা বাজি বন্ধ না হয়।রাজ্যের গরিবদেরকে জোর করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

একুশের শহীদ মঞ্চ যাওয়ার জন্য পুলিশের তরফ থেকে ফোন করা হচ্ছে বিরোধীদের।এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ এখন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিটেন হিসাবে কাজ করছে। এখন এ টিম হয়ে গেছে পুলিশ ছাড়া কিছু নেই পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ যদি অন্যান্য রাজ্যের পুলিশের মত নিরপেক্ষ হয়ে যায়, তৃণমূল কংগ্রেস ১৫ মিনিট লাগবে না ঘরে ঢুকে তালা বন্ধ করে বসে থাকবে। বহু নেতা আছে যারা রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যাবে,এত টাকা রোজগার করেছে।

২ লক্ষ লোক হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাই এর মঞ্চে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে আপনাদেরকে শুধু এটাই বলব ২০০৯ বামফ্রন্টের ধর্মতলা সভার ছবি দেখে নেবেন। কার্যত সময় লাগেনি সেই সরকার উঠে গেছে। এই সরকারেরও তাই হবে ২৬ অব্দি অপেক্ষা করতে হবে না।