অবতক খবর , সংবাদদাতা ২১শে জুলাই :: এন-৯৫ ফেস মাস্কের ব্যবহার বন্ধ করতে বলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, এই ধরনের এন-৯৫ মাস্কের সঠিক ব্যবহার না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তার বদলে সুতির বা ঘরে তৈরি মাস্ক ব্যবহারেরই পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।

এন-৯৫ মাস্কের ভালভ রেসপিরেটার ভাইরাস ছেঁকে নিতে পারে। তবে এই ধরনের মাস্ক স্যানিটাইজ করার বিশেষ পদ্ধতি আছে। সেটা না করলে সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিস (ডিজিএইচএস) রাজীব গর্গ।

তিনি বলেছেন, “ভালভ রেসপিরেটার দেওয়া এন-৯৫ মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারলে বিপদ হতে পারে। তাই এই ধরনের মাস্ক না পরাই উচিত। পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি সুতির মাস্ক বা ফ্যাব্রিক মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। নাক-মুখ ঢাকা থাকবে এমন ফেস-কভার ব্যবহার করাই উচিত ও নিরাপদ।“

 

কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে পারস্পরিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি প্রয়োজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। তবে পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলা যেখানে কঠিন, সেখানে মাস্ক ব্যবহারেরই পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কোভিড সংক্রমণ যেসব এলাকায় বেশি ছড়িয়েছে অর্থাৎ হটস্পট চিহ্নিত এলাকা বা দোকান-বাজার, রেস্তোরাঁ, শপিং মল, ধর্মীয় স্থান ইত্যাদি জনবহুল জায়গা যেখানে পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলা প্রায় অসম্ভব, সেই সব জায়গায় কী ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা নিরাপদ তার নতুন গাইডলাইনে হু জানিয়েছিল, জনবহুল এলাকায় সকলকেই ফ্যাব্রিক মাস্ক (নন-মেডিক্যাল)পরতে হবে।

মেডিক্যাল বা সার্জিক্যাল মাস্কে একটাই প্লেন লেয়ার থাকে। সাধারণত মসৃণ সারফেস। তবে ফ্যাব্রিক মাস্কে তিনটি ভিন্ন উপাদানের বা মেটিরিয়ালের লেয়ার থাকে। এই ধরনের মাস্ককে ‘থ্রি-লেয়ার মাস্ক’ বলা হয়। এর একটা বাইরের স্তর থাকে যেটা ওয়াটারপ্রুফ সিন্থেটিক মেটিরিয়ালে তৈরি। সাধারণত পলিপ্রপিলিন দিয়ে তৈরি হয় এই আউটার লেয়ার। এই পলিপ্রপিলিনের কাজ হল ভাইরাস ড্রপলেটকে আটকে দেওয়া। এই উপাদানকে ভেদ করে ভাইরাস ড্রপলেট আর নাক বা মুখ অবধি যেতে পারে না। আউটার লেয়ারের ভেতরেও থাকে আরেকটা পলিপ্রপিলিনের মিডল লেয়ার। এর কাছ ছাঁকনির মতো। কোনও কারণে যদি ভাইরাস ড্রপলেট ভেতরে ঢুকে আসে তাকে ছেঁকে বার করে দিতে পারে এই লেয়ার। আর তৃতীয় লেয়ার বা যে অংশটা মুখ-নাকের কাছে থাকবে সেটা তৈরি হয়েছে সুতির উপাদান দিয়ে যা চূড়ান্ত পর্যায়ে ফিল্টারের কাজ করবে পাশাপাশি ত্বকের জন্যও আরামদায়ক। এই ধরনের মাস্ক পরিষ্কার করে পুনর্ব্যবহারের সুবিধা আছে।