অবতক খবর,১৬ জুলাইঃ

১) কেন্দ্রের বিচারে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে-

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন দেশে যেখানে কৃষকদের বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে সেখানেই কৃষকদের জন্য বিভিন্ন স্কিম শুরু করেছেন তিনি। তাই গোটা দেশে যখন করোনার জন্য আয় কমে গেছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের আয় বেড়েছে।

২) পণ্যবাহী গাড়ির দূষনে শহর তিন নম্বর–

কলকাতা ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল। ব্রিটিশ আমল থেকেই এই শহরে ব্যবসা-বাণিজ্য চলতো। এবং কলকাতার ভেতরেই রয়েছে ক্যালকাটা পোর্ট। সেই কারণে পন্যবাহী গাড়িগুলিকে শহরের মধ্যে আসতেই হয়। চেষ্টা করা হচ্ছে শহরের মধ্যে না প্রবেশ করে আশেপাশে দাঁড় করানোর। এলাকাগুলিতে লজিস্টিক হাব তৈরি করা ও হচ্ছে। কিন্তু একদিনে সম্ভব নয়। সময় লাগবে।

৩) রাজ্য সরকার পয়লা জুলাই ৭৫ মাইক্রোনের নিচে প্লাস্টিকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু এখনো শহরের বিভিন্ন বাজারে প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে–

আমরা এখনো পুলিশকে অ্যাকশান নিতে বলিনি।আমরা চাইছি মানুষ সচেতন হোক। মানুষ সচেতন হয়ে নিজের থেকেই প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে দিক। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। এতক্ষণ না সচেতন হচ্ছে ততক্ষণ কিছু করা যাবে না।

৪) মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগ–

মিড ডে মিল খেলে পার্থক্য বোঝা যাবে।একজন টিচার খেলেই বুঝতে পারবেন। দুজন টিচার থাকবে যারা প্রত্যেকদিন মিড ডে মিল খেয়ে পরীক্ষা করে তারপর ছাত্র-ছাত্রীদের খেতে দেবে ।এই সাজেশনটা এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট কেও পাঠানো হবে।

৫) কলকাতা পুরসভায় চাকরির নামে প্রতারনা-।

কলকাতা পুরসভার কমিশনার ভুয়া চাকরির প্রতারণায় নিউ মার্কেট থানা অভিযোগ দায়ের করেছিল এরপরই আজ রানাঘাট থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা একটা চক্র বহুদিন চলছে। নজরে আসার পর নিউমার্কেট থানায় অভিযোগ জানানো হয়। সেই মামলাতেই পুলিশ তদন্ত করে গ্রেফতার করছে।অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হবে।

৬)একুশে জুলাই উলুবেড়িয়াতে বিজেপির সভা করতে অনুমতি দিল না প্রশাসন–

শহীদের স্মরণে একুশে জুলাই তে তৃণমূল বহু বছর ধরে সভা করে আসছে। বিজেপি অরাজকতা তৈরি করার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে। সারা তৃণমূলের সভায় যোগ দিতে রাজ্য থেকে হাজারে হাজারে মানুষ আসবে। সেখানে কয়েকজন বিজেপি কর্মীরা মিলে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইবে। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।

কৃষ্ণ কল্যাণীর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে–অনেকদিন ধরেই বিজেপি কৃষ্ণ কল্যাণী ওপর প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। বিরোধী দলনেতার দত্র দেহ কারণ কৃষ্ণ কল্যানী। তাই স্বভাবতই ওকে খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।এটা বাংলায় চলবে না পুলিশ তদন্ত করে কঠোরতম ব্যবস্থা করবে।।

৭) একুশে জুলাইয়ে বিজেপির উলুবেরিয়া সভা করতে চেয়েছে– সৌজন্যতা হারাচ্ছে??

যে দল অসভ্য বর্বর তাদের কাছে সৌজন্যতা রাজনীতি আশা করা যায় না। যারা মানুষের মধ্যে বিভেদ করিয়ে দাঙ্গা করে তাদের কাছে সৌজন্যতা আশা করা যায় না। অনুমতি না দিয়ে পুলিশ হয়েছে ঠিক করেছে।।

৮) উলুবেড়িয়াতে একুশে জুলাই এর সভা করতে চেয়ে বিজেপি কোর্টের দ্বারস্থ–

বিজেপি কোর্টে যেতেই যেতে চাইলে যেতে পারে কিন্তু কোর্ট কখনই তাদের এই আবদার মেনে নেবে না। কোড কখনোই নৈরাজ্য সৃষ্টি বা যাতে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে এমন কিছুই তে সমর্থন করবে না।

৯) সংসদে শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা –এগুলি করে বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করতে চাইছে কেন্দ্র। সংবিধানকে হত্যা করছে কেন্দ্র সরকার। বাক স্বাধীনতা হরণ করছে বিজেপি। সবকিছু গ্রাস করছে বিজেপি মানুষ ও দেশের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠছে এরা।

১০) বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোন সমস্যা হবে না-এগুলো আমাদের দল যা বলার বলবে।

১১)রাজ্যে ফের শুট আউট–রায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে??

বিজেপি উদ্দেশ্য উত্তেজনা তৈরি করা। এটা আজ নয় স্বাধীনতার আমল থেকে এটাই করে আসছে আজ দেশ যে বিভাজন হয়েছে তার পেছনেও বিজেপির হাত রয়েছে।

১২)ব্যারাকপুর কমিশনারেট খুবই সক্রিয়। তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে। বিজেপি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে । ওই এলাকায় হিন্দিভাষী মানুষের সংখ্যা বেশি। তাই এসব এলাকাগুলোকে উত্তেজিত করার চেষ্টা। কিন্তু বাংলায় তাদের এই পরিকল্পনা কোনই সফল হবে না। আমরা ভেদাভেদের রাজনীতি না।

১৩)রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির–বিজেপি চাইছে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা তৈরি করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে।

১৪) সরকারি বাসকভাবে সরকারি বাসক সবাইকেই ইন্সুরেন্স ও সিএফ করানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সকলকেই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। লালবাজারে ট্রাফিকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। প্রত্যেক গাড়িতে বীমা ও সি এফ থাকতেই হবে।

১৫) ১০০ দিনের কাজের বেনিয়মে কেন্দ্রীয় দল চার জেলা প্রশাসনকে জরিমানা করলো-

কিছু কেন্দ্রীয় নেতা ইন্সট্রাকশনে কাজ করছে এই কেন্দ্রীয় দল। সেই কেন্দ্রীয় নেতাকে খুশ করতে এই কেন্দ্রীয় দল এই গুলো করছে।

একশ দিনের কাজে বাংলা এক নম্বর। মন্ত্রী ও সে কথা স্বীকার করছেন কিন্তু তার সঙ্গে যে আমলারা এসেছিলেন তারা তাদের মাথার ওপরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সন্তুষ্ট করতেই এই ধরনের কাজকর্ম করছে।

১৬)বাস ভাড়া নিয়ে কোর্টরে রায় ছয় সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে পরিবহন দপ্তরকে–এখনো কোর্টের রায় আমাদের কাছে আসেনি কোর্টের রায় এলে পরিবহন সচিব কে নিয়ে বৈঠক করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

১৭) জন্ম নিয়ন্ত্রণ ধর্মের ভিত্তিতে করা উচিত নয়–

আমরা ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ করি না। পশ্চিমবাংলায় সার্ভে নিরপেক্ষভাবে হোক। পপুলেশন সার্ভে পপুলেশন সার্ভে যেভাবে হবে সেই ভাবে একটা পলেসি নিতে হবে।