অবতক খবর,১৬ মেঃ সল্টলেকে EZCC তে রোজগার মেলার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শান্তনু ঠাকুর, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দার। এটা পঞ্চম পর্বের রোজগার মেলা। প্রত্যেকবার সারা দেশে ৭১ হাজার প্রার্থীরা পায়। আজ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সারা দেশে ৭১ হাজার প্রার্থীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। আজ ভারতের ৪৫ টি জায়গায় রোজগার মেলা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সল্টলেক EZCC থেকে তিনশো জন প্রার্থীকে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

সুকান্ত মজুমদার—–

৩৬ হাজার চাকরি চলে যাও নিয়ে—-

এরা সবাই দুর্নীতিগতভাবে চাকরি পেয়েছে তা নয়, পর্ষদের অনমনীয়তা এবং রাজ্য সরকারের জন্য এদের চাকরি গেছে। উল্টোদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৭১ হাজার বেকার যুবক যুবকদের চাকরি তুলে দিচ্ছেন। সব থেকে বড় কথা একটা নিয়েও কেউ কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারবে না। পলিটিক্যাল পার্টি এবং সরকার যে আলাদা সেটা প্রধানমন্ত্রী বারবার করে দেখিয়েছেন। আমরা পশ্চিমবঙ্গে দেখেছি সরকার বলে কিছু নেই গোটাটাই পলিটিক্যাল পার্টি।

ইনডোর স্টেডিয়ামে বছর দুয়েক আগে মেলা করার চেষ্টা রাজ্য সরকার করেছিল, যে চাকরিগুলো দিয়েছিল সেগুলো ট্রেনিং এর কাগজপত্র ছিলো—

চাকরির নামে কিছু স্টুডেন্টদের পত্র দেওয়া হয়েছিল যারা পাশই করেনি। অনেককে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া সত্ত্বেও তারা সেখানে জয়েন করতে পারেনি। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকার আর করছে না। রাজ্য সরকার বুঝে গেছে তাদের চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এই যে কর্নাটকে কংগ্রেস যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে প্রতি বছর 62000 কোটি টাকা করে সরকারকে খরচ করতে হবে। কোথা থেকে দেবে? হলে জনগণের মোহভঙ্গ হবে।

৩৬ হাজার চাকরি গেছে Da আন্দোলনকারীদের জন্য—

সমস্ত দোষ অন্যের কাঁধে দিয়ে, হাই জাম্প দিয়ে কিভাবে দিয়ে পার হতে হয় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ভালো কেউ জানেন না। এ নিয়ে অলিম্পিকে স্পোর্টস হলে ইন্ডিয়া একটা গোল্ড মেডেল পেতো।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে যাওয়া আরএসএস কর্মী নন—-

ওই ব্যক্তির পোষাক পড়া দেখে বোঝা যায় তাকে নকল স্বয়ংসেবক সাজানো হয়েছে। এটা একটা সস্তার চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছিল। রামগোপাল বর্মার থেকেও খারাপ চিত্রনাট্য।

রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমেডি জানিয়ে দিলেন তিন বছরের ডাক্তার তৈরি সম্ভব না—

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়টা তাদেরকে একটু ভালো করে বোঝাতে বলুন, প্রয়োজনে কয়েকটা ভিটামিন ও পাঠিয়ে দিতে বলুন। ওনাকে নার্ভের ভিটামিন সাজেস্ট করতে বলুন কমিটিকে। মানুষ অপ্রকৃতস্থ হলে এই ধরনের কথাবার্তা বলে। এরপর হয়তো উনি বলবেন সব রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী রাখতে হবে।

জামালপুরে নবজোয়ারী ইসু নিয়ে—-

নব জোয়ারের নামে মারপিট ও ব্যালট বাক্স লুট চলছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় ভিড় হবে না তাই এই প্রার্থী মনোনয়নের ব্যবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন শুধু পার্টির নাম করে জনসভা ডাকলে সেখানে ভিড় হবে না। এখন ওই ব্যালট বক্সে ব্যালট ফেলার জন্য কিছু লোক জমা হচ্ছে।

কংগ্রেসকে সমর্থন করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য—-

অধীর বাবুর সাথে একবার বসতে বলুন মুখ্যমন্ত্রীকে। আমরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধীর চৌধুরীকে পাশাপাশি বসে চপ কাটলেট খাওয়ার সেই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য দেখি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুকে লেখা নিয়ে—-

নিশ্চয়ই খবর পেয়েছেন সিবিআই এর হাত বাড়ির কারো কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

কুর্মি আন্দোলন নিয়ে করা দিলীপ ঘোষের মন্তব্য

আমার মনে হয় দিলীপ ঘোষের করা মন্তব্য বুঝতে অসুবিধে হয়েছে। বা উনি যেভাবে বলেছেন সেটা হয়তো খারাপ লেগেছে। এই বিষয়টাকে এভাবে বাড়ানো উচিত নয়। যদি ওনাদের মনে হয় আমি ক্ষমা চাইলে ওনারা শান্ত হবেন, তাহলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে আমি ওনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

বিকাশ মিশ্র জামিন পেয়ে গেলেন—-

এতে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। আমাদের মতামত এই ধরনের লোকেদের জামিন না পাওয়াই উচিত। কিন্তু আদালতের বিরুদ্ধে আমরা কিছু বলতে পারি না।

ইশতিয়ারের দু কোটি চাকরি দেওয়ার কথা ছিল এখন কেন ৭০-৭১০০ করে চাকরি দেয়া হচ্ছে—-

ইশতেহারটা ভালো করে পড়তে বলুন, হিন্দি পড়তে অসুবিধা হলে ইংরেজিটা পড়তে বলুন। আমরা বলেছি এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান করব। কর্মসংস্থান আর সরকারি চাকরি এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে, তৃণমূলের নেতারা হয়তো সেটা বোঝেন না। এ বিষয়ে ইপিএফ এর তথ্য নিতে বলুন।

মৃত সন্তানের দেহ ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া—

এটা সভ্য সমাজের জন্য পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেই পরিবারকে কিছু আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিয়েছি। এর বিরুদ্ধে যদি বুদ্ধিজীবীরা মুখ খুলতে না পারেন তাহলে আমার মনে হয় সেই বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি বন্ধক রাখা আছে।