শেষ রাত লেখা

সর্দারজি
তমাল সাহা

সর্দারজি! ফাঁসি লাগানেকা হুকুম আগেয়া। তৈয়ার হো যাইয়ে!
সর্দারজির ডানহাতে তখন লেনিনের জীবনী। মাথা নিচু করে আছেন।‌ নিমগ্ন চোখ পৃষ্ঠার দিকে।
বাঁহাত বাড়িয়ে বললেন, রোকিয়ে! এক ক্রান্তিকারিকে সাথ অউর এক ক্রান্তিকারি কা বাতচিত চল রহা হ্যায়!
বইটি কিছুক্ষণ পড়ার পর বললেন, চলিয়ে!

কোথায় চললেন…

ফাঁসির কথা ছিল ২৪ মার্চ,১৯৩১
ফাঁসি হয়ে গেল ২৩ মার্চ রাত তখন ৭টা ৩৩,
একদিন আগে!
মানুষ মৃত্যুদণ্ডের খবর শুনেই ফুঁসছিল উত্তেজনায় রাগে।

ভয়ঙ্কর এই জীবন্ত ডিনামাইট,
বিপজ্জনক এই বিস্ফোরক, যত তাড়াতাড়ি নিকেশ করা যায়
লাভামুখী আগ্নেয়গিরি কখন যে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়!