সরকারি ভুলের খেসারত দিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত নিম্নআয়ের প্রতিবন্ধীদের, শরণাপন্ন পৌরসভা এবং বিধায়কের কাছে

অবতক খবর,২২ জানুয়ারি,নদীয়া:- উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে পড়লে যে কি বিপত্তি হয়, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শান্তিপুর শহরের 24 জন মানবিক পেনশন পাওয়া বিশেষভাবে সক্ষমরা ।

কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্বেও বছরের পর বছর চাতক পাখির মতো হা করে থাকেন একটু সরকারি সহযোগিতার। জন্য। আবার কেউ সে সুবিধা পাচ্ছেন, দুবার করে। কথায় আছে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো, উন্নত কম্পিউটার থাকলেও শান্তিপুরের 24 জন বিশেষভাবে সক্ষমরা তাদের মানবিক পেনশন হিসেবে 1000 টাকা প্রতি মাসে পেয়ে থাকলেও বাড়তি 1000 টাকা করে একাউন্টে ঢুকেছে বেশ কয়েক মাস যাবৎ। আবার কারোর মানবিক পেনশনের টাকাই ঢুকলো না অথচ টাকা ফেরতের আইনি নোটিশ পৌঁছে গেলো বাড়িতে। ন্যূনতম দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাতে কারোর কারোর বেছে নিতে হয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি পর্যন্ত। অথচ চালচুলোহীন বেশ কিছু মানুষের রাতের ঘুম উড়েছে দুশ্চিন্তায়।

দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীন অবস্থায় ব্যাংকে ভিড়ে জাননি অনেকেই, কর্মহীন পরিবার প্রধানের বেরোজগারের ফলে কোথা থেকে কত টাকা এসেছে তা জানেন না অনেকেই। গনগনে অভাবের আঁচে দু একফোঁটা জল শুকিয়েছে চোখের নিমেষে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু হঠাৎ জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়িতে সমন আসার ফলে মাথায় হাত সকলের।

সেখানে সরকারি চোখরাঙানি চিঠি পাওয়া মাত্র 10 দিনের মধ্যে বাড়তি 10 মাসের 1000 কোটি টাকা অর্থাৎ 10 হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে, না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ পৌঁছেছেন আইনজ্ঞর কাছে কেউ বা জনপ্রতিনিধির কাছে। সে টাকা তো কবে তুলে সংসার খরচ হয়ে গেছে, এখন একসাথে কিভাবে দেওয়া সম্ভব? তাও যদি কিস্তি অনুযায়ী প্রতিমাসে অল্প কিছু পরিমাণ সামান্য ভাতার টাকা থেকে কাটিয়ে নিতেন তা হলেও একটা কথা ছিলো, কিন্তু একসাথে কোথায় পাবেন তারা? তাদের করুণ আর্তি যদি দেওয়ার সে আর্থিক পরিস্থিতি থাকতো তাহলে কি আর সরকারি ভাতার আবেদন করার প্রয়োজন ছিলো?

বাড়িঘরের পরিস্থিতি আয়ের উপায় সমস্ত খতিয়ে দেখে তবেই মঞ্জুর হয়েছিল ভাতা। সরকারি টাকা কিভাবে ভুল হয়ে থাকলে তাদের একাউন্টে? নির্ভীকভাবে দীপ্ত কণ্ঠে গলা উঁচু করে না বলতে পারলেও, সরকারের দয়া-দাক্ষিণ্যে চলা এই মানুষগুলো ফেরত দিতে রাজি আছেন তবে ধাপে ধাপে।

শান্তিপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক সুব্রত ঘোষ বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর কাছে এই অনুরোধ নিয়েই বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। ভুল স্বীকার করে নিয়ে পৌর প্রশাসক এবং বিধায়ক দুজনেই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দেখছি। বিধায়ক জানান এ সরকার মানবিক, সাধারণ মানুষের বিড়ম্বনা হবে না এমন সিদ্ধান্তই নেবেন এটাই আশা করি। বিশেষভাবে সক্ষম দের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা এর আগেও করেছি, এবারেও পাশে থাকবো।