নিজস্ব সংবাদদাতা :: অবতক খবর :: ১৪ই নভেম্বর :: উত্তর দিনাজপুর :: পরিবেশ বান্ধব চাষ অর্থাৎ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে তাক লাগিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কিছু চাষী। গোচনা, গোবর, গাছের পাতা পচিয়ে তা সার রুপে ব্যবহার করে প্রায় ষাঠ রকমের ধান চাষ করে প্রচুর ফলনের নজির সৃষ্টি করেছে এই কৃষকেরা।

মূলত ভট্টদিঘী তে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে এই জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা ছাড়াও ভরতপুর, নয়াপাড়া, সাহাপুর, বিন্দোল, বুড়িডাঙ্গী, শীজগ্রাম এলাকাতেও সম্পূর্ন রাসায়নিক বিহীন ভাবে ধান চাষ করা হচ্ছে। গোবিন্দভোগ, রাধাতীলক, তুলাইপাঞ্জী, পারিজাত, তুলসীমুকুল, কেরালা সুন্দরী, কালোজিরা, জয় প্রকাশ, লাল বাসমতী, বহুরূপী, মনিপুরী চখাও, যসোয়া সহ বিভিন্ন প্রকারের ধান চাষ করা হচ্ছে।

মূলত দুরারোগ্য ব্যাধী ক্যন্সার, ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন প্রকারের রোগ ছড়াচ্ছে এই রাসায়নিক সার থেকে। এমনকি বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলস্তর নেমে যাওয়ার পেছনেও পরোক্ষ ভাবে প্রভাব রয়েছে রাসায়নিক সারের। এমনটাই দাবি করেছেন কৃষকদের পক্ষে টিপু মন্ডল।

তিনি বলেন দীর্ঘ দশ বছর ধরে এই জৈব চাষের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন । তাদের লক্ষ্য হল সম্পূর্ন রাসায়নিক সার বাদ দিয়ে শুধুমাত্র জৈব সার প্রয়োগ করে সব ফলন ঘটানো। এবং এই চাষ করে অল্প খরচে ফলন ঘটানো সম্ভব বলে দাবী করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য এদিন মালদা জেলার বামনগোলা ব্লক থেকে প্রায় ৪০ জন চাষী এই জৈব পদ্ধতিতে চাষ কীভাবে ধান করা হচ্ছে এবং এই পদ্ধতি শেখার জন্য ভট্টদিঘীতে আসে। মানবেন্দ্র কুমার সাহা বলেন তারা এই পরিবেশ বান্ধব চাষ দেখে শেখার জন্য মালদা জেলা থেকে এসেছেন এবং নিজেদের এলাকাতে এই পদ্ধতিতে চাষ করে পরিবেশ ও মানবজাতী উভয়কেই বাঁচানোর চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।