অবতাক খবর, সংবাদদাতা :: সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে এক যুবক তার দুই বোন ও ভাগ্নীকে খুন করার ঘটনায় চাঞ্চল্যে ছড়ালো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার হামজাপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , হামজাপুর এলাকার চায়না বাজ গ্রামের একই পরিবারের তিন জন খুন হয়েছে শনিবার বিকালে।

মূলত পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের জন্যই এই খুন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, বাবার সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেবার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিচ্ছিলেন অভিযুক্ত আবু তাহের মিয়া এবং এই জমি নিজের নামে লিখে নেবার জন্য বোনেদের চাপাচাপির ফলে সকালে অভিযুক্তে আবু তাহের মিয়ার সঙ্গে তার বোন জামাইয়ের তীব্র বাদানুবাদ হয় এবং সেই সময় অভিযুক্ত আবু তাহের মিয়া তার জামাইবাবু ইদ্রিস আলীকে ব্যাপকভাবে মারধর করে এবং তার মাথা ফাটিয়ে দেয়বলে অভিযোগ।

তিনি স্থানীয় গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি। আজ সকাল থেকেই বাড়ির পরিবেশ বেশ থমথমে ছিল। আজ বিকেল নাগাদ অভিযুক্ত আবু তাহেরের তিন বোন রোজিনা বিবি মেনকা বিবি ও ঢাকো খাতুন বাড়ির বারান্দায় বসে আলোচনা করছিলেন চিকিৎসাধীন রোজিনা বিবির স্বামী ইদ্রিস আলীকে হাসপাতালে দেখতে যাবার জন্য এবং সেইজন্য রোজিনা বিবি হাসপাতালে যাবার জন্য টোটো ডাকতে মূল রাস্তায় যান।

ঠিক সেই মুহূর্তে অভিযুক্ত আবু তাহের তার বাড়িতে উপস্থিত তার দুই বোন মেনকা বিবি ও ঢাকো খাতুন এবং তার এক ভাগ্নি প্রিয়াঙ্কা খাতুন এদের ওপর কোদাল নিয়ে আক্রমণ চালায়। এলোপাথাড়ি কোদালের আঘাতে তার নিজের দুই বোন ও এক ভাগ্নি ঘটনাস্থলেই মারা যান। মারা যাওয়ার পর অভিযুক্ত আবু তাহের মিয়া সেই মৃতদেহগুলোকে মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে তার কৃতকর্মকে লুকোনোর চেষ্টা করেন।ঠিক সেই মুহূর্তে রাস্তায় টোটো ডেকে বাড়ী ফিরে আসেন রোজিনা বিবি ।

বাড়িতে ফিরেই রোজিনা বিবির চক্ষু চড়কগাছ। তিনি দেখতে পান তার চোখের সামনে তার মেয়ে এবং তার দুই বোনকে খুন করে মাটিতে চাপা দিয়েছে তার ভাই আবু তাহের মিয়া। রোজিনা বিবির চিৎকারে আশেপাশের গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন এবং অভিযুক্ত আবু তাহের মিয়াকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।গ্রামবাসীরা গণপ্রহার দিয়ে স্থানীয় গঙ্গারামপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করে গঙ্গারামপুর থানায় নিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে মৃতদেহ তিনটিকে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর থানায় নিয়ে যান। জানা যায় আগামীকাল মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্ত হবে।তদন্ত শুরু করেছেন গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।