অবতক খবর, সংবাদদাতা ::  যা হবার কথা ছিল সেটাই হলো। দলের ভেতরে থেকেই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। একের পর এক তোপ দেগে ছিলেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী । বিভিন্ন অরাজনৈতিক মঞ্চ ব্যবহার করে তৃণমূলের যুবরাজকে নাম না করে প্যারাসুট নেতা বলে কটাক্ষ করেছিলেন বারেবারে। তবে দলের থেকে দলের মন্ত্রী পদে থেকে এভাবে দলকে বিডম্বনায় ফেলার জন্য তাকে বারেবারে বিঁধেছেন তৃণমূলের অনেকেই। পদ ছেড়ে মাঠে নামার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । আর অবশেষে সেই পথেই হেঁটে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

গত সোমবার সরকারের দেওয়া পাইলট গাড়ি ও সুরক্ষা ছেড়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি মন্ত্রিসভা এবং সমস্ত সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন যে তিনি সরাসরি লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত।

শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ ও সরকারি সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজ্যপাল কেও বার্তা পাঠিয়েছেন। এছাড়াও শুভেন্দু যে আর রক্ষণাত্মক নয় । তারা যে আরও তীব্র হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তার মন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়ার পর একথাও পরিষ্কার যে তিনি আর দল থাকতে চান না তা নিশ্চয়ই কয়েকদিনের মধ্যে পরিষ্কার করে দেবেন।

সূত্রে এ খবর জানা গেছে যে আগামীকাল শুভেন্দু বাবু দিল্লী রওয়ানা দিচ্ছেন তার দিল্লির যাত্রা অনেক কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে তার এই মন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়ার পর তার অনুগামীরা ভীষণ আনন্দিত। তারা এখন সরাসরি তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কোমর বেঁধে তৈরি হচ্ছেন।

অন্যদিকে তৃণমূলের ভেতরে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রীপদ অন্যান্য সমস্ত পদ ছেড়ে দেওয়ার পর আন্দোলন শুরু হয়েছে এখন দলের মধ্যে অনেকেই দাপুটে নেতা এভাবে দলের বিরুদ্ধে চলে যাওয়াতে খুব অল্পতে অনুসরণ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে তার মানভঞ্জন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দলের দুই সাংসদ সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কে সৌগত বাবু পর পর তার সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেন তিনি শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলে তার অভিমান ও তার দলের প্রতি অনীহার কারণ জানতে চান শুভেন্দু তার দাবি জানান কিন্তু দলীয় নেত্রী তার দাবি অনুযায়ী দাবি পূরণ করতে রাজি হননি বলে জানা গেছে তাই তিনি এবার শেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রে জানা গেছে যে শুভেন্দুর 6 টি জেলার দায়িত্বে ছিলেন যে জায়গা গুলোতে তাকে কনভেনার করা হয়েছিল কিন্তু তার এই দাবি মানতে চায়নি তা ছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন যে বর্তমানে দল নেত্রী হাত থেকে বেরিয়ে গেছে শেষ নির্ণয় দলনেত্রী নিতে পারছেন না তার বদলে দলের নীতিনির্ধারক তার ভাইপো ও ভোট কৌশলী বুদ্ধিদাতা নিচ্ছেন তাই তাদের নির্দেশ মেনে চলা সম্ভব নয়।শুভেন্দু অধিকারী ও তার অনুগামীরা এখন যে কোমর বেঁধে আরো লড়াইয়ের জন্য ভয়ঙ্কর অবস্থায় নামছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না সেটা অবশ্যই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন নেত্রীও।

তাবে কৌশুলি শুভেন্দু জানিয়েছেন এই মুহূর্তে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না কিছুদিন সাধারণ বিধায়ক হিয়েই থাকতে চান তিনি। ওদিকে মিহির গোস্বামী দিল্লি পৌঁছে গেছেন। মিহির গোস্বামী বলেছিলেন কে বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কেউ সাহস দেখতে পারছেন না তাই তিনি তৃণমূল থেকে প্রথমেই পদত্যাগ করে জানিয়ে দিয়ে ছিলেন যে ” এবার বেড়ালের গলায় ঘন্টা তিনি বেঁধে দিয়েছেন।”আজ একদিকে যখন শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগ করছেন তখন মিহির গোস্বামী বিজেপি নেতা ও সাংসদ নিশীথ প্রামানিকের সঙ্গে দিল্লিতে। এখন সকলের মনে আক্তার কথা মিহিরবাবুরপথেই কি এগোচ্ছেন শুভেন্দু নাকি অন্য্ কোনো নতুন পথ ?