কবি কবি শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণ দিবসকে সামনে রেখে

সময়লিপি
তমাল সাহা

এক) নারী মাংস

অবশেষে অনুসন্ধান শেষ।
নারী-কাঁচামাংস খায় কারা?
উত্তর এলো–
উত্তর-পূর্ব গোলার্ধের এই উপমহাদেশ!

দুই) কপালকুণ্ডলা ও নবকুমার

কপালকুণ্ডলা যখন দেখিল নবকুমার তাহার দিকে তাকাইতেছে না তখন সে বলিল, নব! দেখো চারিদিকে জল আর জল, এপার-ওপার ভেসে যায় দুই কুল।

নবকুমার বিন্দুমাত্র তাহার দিকে তাকাইলো না। ‌বলিয়া উঠিল, কুণ্ডলে! দেখো বিস্তীর্ণ উপকূল! কী সুন্দর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কত রকমের তৃণমূল!

তিন) চালাক

কবিরা এখন খুব চালাক
পাঠকের কাছে ধরা দিতে চায় না।
শাসকের কাছে ধরা দিতে চায়
সেখানে মুদ্রা ও মোহর সহজেই পাওয়া যায়।

চার) খা

খিদে! খিদে! করছিলি
আমি কি তখন বুঝেছি কিছু ছাই?
চাল ডালে শুধু তোদের পোষাবে না
নারীমাংস চাই।

তাহলে হাঁসখালি ধানতলা মাটিয়া মালদা শ্মশানে যা।
ওখানে দলাপাকানো পোড়ামাংস পাবি
নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ে খা!

পাঁচ) এরা ওরা

এরা ওরা বলতে কি বুঝায় জানিনা।
তবে এবার হয়ে গেছি এরা।
এরা মানে এখন ক্ষমতায় ওরা।

এখন আর কোনো ভয় নেই।
ওরাই এখন আমায় দিচ্ছে পাহারা।

এরা ওরা শব্দ দুটি ঘুরপাক খায়।
এটা বোঝা যায় কে কখন আছে ক্ষমতায়।

ছয়) দলবল

বাংলাভাষাও আমি কম বুঝি।
দল শব্দটি শুনেছি অনেক কিন্তু বুঝেছি শুধু থাকলেই হবে না দল
সঙ্গে থাকতে হবে বল।

তাই ক্ষমতাধর একটি শব্দ তৈরি হয়েছে বাংলা বর্ণমালায় দলবল।