অবতক খবর,২০ এপ্রিল,কলকাতা,সুমিত:  সব পড়ুয়াকে ক্লাস করতে দিতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় কোনওভাবে বাধা দিতে পারবে না স্কুল। বেতন বকেয়া এবং স্কুল বন্ধ সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এবং মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই জনস্বার্থ মামলায় শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার সেই শুনানিতে আদালতে জানিয়েছে ৯ এপ্রিল জিডি বিড়লায় সেন্ট্রাল স্কুল অফ এডুকেশন যে নোটিশ দিয়েছিল, সেটা প্রত্যাহার করতে হবে। বেতন বকেয়া থাকলে পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারবে না এই সংক্রান্ত নোটিশ কার্যকর নয়। সব স্কুল এই নির্দেশ ফলো করবে। এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

মামলাকারীদের পক্ষে এদিন অভিযোগ করা হয়েছিল জিডি বিড়লা স্কুল হাইকোর্টের নির্দেশমতো মার্কশিট দেয়নি। নতুন ক্লাসে ভর্তি করা হয়নি। স্কুল নোটিশ দিয়ে বলেছে ১০০% ফি না দিলে ক্লাসে বসতে পারবে না। যদিও স্কুলের তরফে আইনজীবী বলেন, ‘২০২০ র নির্দেশমতো ৭০ হাজার টাকা ২০২০.২০২১ এবং ১৭ হাজার টাকা অভিভাবকরা দিয়েছেন ২০২১.২০২২ এর জন্য। এটা করলে স্কুল চলবে কী করে? ২০২০.২১ এবং ২১,২২ এর ফি স্ট্রাকচার মিলিয়ে অভিভাবকরা দিয়েছেন। কিন্তু এটা করলে স্কুল বন্ধ করে দিতে হবে।

সেই মন্তব্যের পরেই ডিভিশন বেঞ্চের পাল্টা কিন্ত এটা তো আদালতের শেষ নির্দেশকে সরাসরি লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা এই বিষয় সমাধানের জন্য বিশেষ অফিসার নিয়োগ করেছিলাম তো সবাইকে প্রমোশন দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই জিডি বিড়লার তরফে জানানো হয়েছে, কারও প্রমোশন আটকানো হয়নি। যদিও এই দাবিকে মিথ্যা কথা বলে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন অভিভাবকরা। তাঁরা বলেন সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিনীত রুইয়া ১৪৫টি স্কুলের অভিভাবকদের তরফে জানান, অনেক স্কুলে যে ছাত্রছাত্রীরা সম্পূর্ণ টাকা দিতে পারেনি, সেখানে তাদের আটকে রাখা হচ্ছে। টাকা দিলে পরে ছাড়া হচ্ছে। এই ঘটনা অমানবিক।