আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: অবতক খবর :: ১৮ই,নভেম্বর ::কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প। এই রাজ্যের দুইটি জায়গায় এই ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে। কলকাতা শহরের পাশে নিউটাউনে তৈরি হচ্ছে রাজ্যের প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্পটি। পরেরটি তৈরি হবে বনগাঁয়। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।যদিও এই ডিটেনশন ক্যাম্পের সাথে ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-এর সাথে কোনও যোগ নেই। বিভিন্ন অভিযোগে আটক প্রায় দুই শতাধিক বিদেশি বন্দিদের রাখার জন্যই তৈরি করা হচ্ছে এই ডিটেনশন ক্যাম্প।

অতি সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যদিও সেই তালিকা থেকে প্রায় ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়া নিয়ে বিতর্ক কম হচ্ছে না। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি চালুর দাবি জানিয়েছে বিজেপি। তারা জানিয়েছে, এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এখানেও এনআরসি চালু করা হবে। আর এরপরই দেশ ছাড়া হওয়ার ভয়ে এ রাজ্যের মানুষের মধ্যে এক অজানা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য নিউটাউনে জমি চিহ্নিত করার কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ক্যাম্প তৈরির জন্য বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁতে জমি খোঁজা হচ্ছে। উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান ‘নিউ টাউনে একটি ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি জমি দিয়েছেন। অন্যটি তৈরি হবে বনগাঁয়। প্রস্তাবিত এই ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেছেন ‘এনআরসি’র সাথে এই ক্যাম্পের কোন সম্পর্ক নেই। এগুলি বিদেশি নাগরিকদের জন্য।’

তিনি আরও বলেন ‘প্রতিবছরই বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অপরাধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদেশি নাগরিকদের আটক করার পর তাদের স্থানীয় বন্দিদের সাথেই কারাগারের মধ্যে রাখা হয়। কিন্তু ভাষা, সংস্কৃতিগত পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। স্থানীয় বন্দিরা প্রায়ই বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। সেই সব বিদেশি নাগরিকদের পৃথকভাবে রাখার জন্যই এই ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে এবং এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী করা হচ্ছে।’

                                                                                                                                         নিচের ছবিটি প্রতীকী ছবি 

কারা দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে শেষ বছরে অবৈধ ভাবে সীমান্ত অতিক্রমসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রায় ২৫০ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪০ জনকে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকীরা স্থানীয় বন্দিদের সাথেই কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। এরা মূলত আফ্রিকান নাগরিক।