অবতক খবর,২৪ ডিসেম্বর: সময় লাগল ৪৬ ঘণ্টা। কোচবিহার স্টেশন লাগোয়া ঝোপ থেকে উদ্ধার হল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নিরাপত্তারক্ষীর জোড়া পিস্তল ও গুলি। গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে। অবশেষে সফল অপারেশন ‘বেবি’।যেদিন কলকাতায় পুরভোটের ফল ঘোষণা হয়, সেদিন অসমে যান মুখ্যমন্ত্রী। কামাখ্যা মন্দিরে (Kamakhya Temple) পুজোও দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ASI পদমর্যাদার এক পুলিস আধিকারিক। সঙ্গে একটি ব্যাগে ছিল দুটি পিস্তল, গুলি ও টাকা। ট্রেনটি তখন নিউ কোচবিহার স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।

বুধবার সকালে বি ৪ কামরায় ওই পুলিস আধিকারিকদের ব্যাগটি চুরি হয়ে যায়! নিউ কোচবিহার জিআরপি-তে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।কীভাবে চুরি হল মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিস আধিকারিকের ব্যাগ? কে চুরি করল? কোচবিহার অতিরিক্ত পুলিস সুপারের (ASP) নেতৃত্বে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বেঙ্গল এসটিএফের (Bengal STF) একটি দলও। অপারেশনের পোশাকি ‘বেবি’। প্রথমে নিউ কোচবিহারের স্টেশনে লাগোয়া সিসিটিভি ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা।

এমনকী, বুধবার বিকেলে কোচবিহার সংশোধানাগারেও পৌঁছে যান তদন্তকারী দলের সদস্যরা। আর তাতেই মিলল সাফল্য। সূত্রের খবর, মাদক মামলায় এখন কোচবিহার সংশোধানাগারে বন্দি দীপক সাহা নামে এক ব্যক্তি। তার কাছ থেকে জানা যায়, গুয়াহাটি-কোচবিহার রুটে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ৪ দুষ্কৃতী।

তাদের যে বর্ণনা দেয় দীপক, সেই বর্ণনার সঙ্গে মিলে যায় সিসিটিভি ধরা এক ব্যক্তির চেহারা! অভিযুক্তের নাম তপন বর্মন। বাড়ি, অসমের  কোঁকডাঝাড়ে। এদিন সকালে সেখানে পৌঁছন তদন্তকারীরা। তখন অবশ্য তপনকে পাওয়া যায়। দুপুরে কোঁকডাঝাড়ে ফিরতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ব্যাগ, টাকা ও মোবাইল। পিস্তল আর গুলি?

জেরায় তপন বর্মন জানায়, ব্যাগটি চুরি করার পর ভিতরে পিস্তল দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল সে। টাকা আর মোবাইল নিয়েছে, কিন্তু পিস্তল ও গুলি লুকিয়ে রেখেছে নিউ কোচবিহার স্টেশন লাগোয়া ঝোপে। শেষপর্যন্ত এদিন দুপুরে ওই ঝোপ থেকে জোড়া পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।