সন্ত্রাস
তমাল সাহা

আকাশের সিংহাসনে দিব্যি জাঁকিয়ে বসে আছে ফ্যুয়েরার মার্তণ্ডরাজ।
পৃথিবীর বাতাসকে গেস্টাপো বাহিনী বানিয়ে দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে উত্তর-পূর্ব গোলার্ধের এই অঞ্চলে

ফ্যাসিবাদী আক্রমণ চালাচ্ছে রীতিমতো।
দীর্ঘদিন তোমার সঙ্গে দেখা নেই।
শুধু জানালায় মুখ বাড়িয়ে রৌদ্রশরীর বিচ্ছুরিত ঝকঝকে রুপোলি আলো দেখি।
তোমাকে দেখি না আর
তোমার মুখখানি কি ঝলসে গিয়েছে?
এখন যদি একবার দেখা হয় চিনতে পারবো কি, সন্দেহ হয়।
তুমি তো আমাকে অবিশ্বাস করো প্রতিনিয়ত
তুমিও বা আমাকে চিনতে পারবে নাকি?

রাইখস্ট্যাগে আগুন লেগেছিল
সে অনেক পুরোনো কথা
এখনকার তুলনায় সে তো শিশু আগুন!
দাহ্যবস্তু পোড়ে, সময় দিনরাত দাহ্যবস্তু নাকি?

গণতান্ত্রিক যাপিত জীবনে সে নামিয়ে এনেছে নৈরাজ্য
স্বাভাবিক কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানিয়ে সে ঘরে আবদ্ধ রেখেছে নির্বিশেষে নারী পুরুষ শিশু।
গ্যাস চেম্বারে মাঝে মাঝে ঢুকিয়ে দিচ্ছে আগুনের হলকা

তুমি কেমন আছো?
তুমি এখন বিষনারী, ওষ্ঠে সঞ্চিত অগ্নিময় লাভা।
তোমার কাছে যাবো কি করে
আমাকে পরিকীর্ণ করেছে ভয়।
অন্য কোনো খবর নেই তো!
চারিদিকে শুধু ফ্যাসিস্ত সূর্যের বীভৎস জয়

বিস্তৃত জনপদে চলছে সৌর-সন্ত্রাস।
অরণ্য নদীর কাছে গেলে ফিরিয়ে দেয় তাপীয় নিঃশ্বাস
ভালোবাসাকেও উদ্বায়ী করে দেবে বুঝি!
কার পাপ!
কে কাকে দিচ্ছে অভিশাপ?