গত কয়েক দিন ধরে এই শ্রমিষ্ঠা নারী রাজমিস্তিরিকে দেখছি আমার পাড়ায় একটি সুউচ্চ ভাড়ায় উঠে একটি বাড়ির পলেস্তারা ও গাঁথুনির কাজ করে চলেছে।

শ্রমিষ্ঠা
তমাল সাহা

জীবনে কত কি দেখি আমি
আমার দৃশ্যপটে কত কি ঘটে যায়—
কত কি আমার জীবনে আশ্চর্য
খিদের বিচারে তুমি খোঁজো নাকি
কে আর্য কে অনার্য?

হয়তো বা এ ঘটনা চলমান
কয়লা-পাথর খাদানে, ইটভাটায়
আমার দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়!

আমি জানি রাজমিস্ত্রি পুরুষ হয়
একে কি বলবো আমি রাজমিস্ত্রি নারী!
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে
পেটের দানাপানি খুঁজে বেড়ায়।
কত উঁচুতে এই ভাড়ারে উঠে
দেয়ালে পলেস্তারা করে বা এক এক করে ইট সাজায়।

এদের কি আছে নিজস্ব মাথা গুঁজবার ঠাঁই?
কার বাড়ির নির্মাণ করে তারা
হাতের অপূর্ব কারুকাজে দেখনাই!
দুচোখ ভরে দেখি আমি এইসব শ্রমিষ্ঠা নারী
আমার হৃদয় হয়ে ওঠে ভারি, এরা তো আমার নিজেরই।

এইসব নারীদের মেহনত ঘাম
কবে পাবে ন্যায্য দাম?
এই সব নারী
সামাজিক গেরস্তালিতে কত গ্রাহ্য!
শিখিয়ে দেয় আমাদের জীবনে
নারীরা কত অনিবার্য।