অবতক খবর , রঞ্জিত যাদব , উত্তর দিনাজপুর :- শ্বশুর বাড়ি গিয়ে খুন হলেন জামাই। ঘটনাটি জানা গেছে বিহারের বীরনগর গ্রামে। আজ মৃতদেহ উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার সাটয়ারা গ্রামে আনা হয়। পুলিশ স্ত্রী এবং শ্বশুড় শ্বাশুড়ি সহ এক কিশোরকে আটক করেছে।

মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকুলিয়া থানার পুলিশ। জানা গেছে, চাকুলিয়া থানার সাটয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ভদোরা ঋষির ছেলে অনিল রিসির সাথে বিয়ে হয়েছিল বিহারের বীরনগরের বাসিন্দা গনেশ ঋষির মেয়ে নিলম ঋষির সঙ্গে। ২ বছর আগে এই বিয়ে হয়।

বিয়ে করার পরে অনিল ঋষি মাঝে মধ্যেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে চলে যেত হয়। কাজে যাওয়ার আগে অনিল ঋষি তার স্ত্রীকে শ্বশুড় বাড়িতে রেখে আসেন।

সব কিছুই ঠিক ঠাক চলত। কিন্তু লকডাউনের পরে আবার তার স্ত্রী কে শ্বশুড় বাড়িতে রেখে আবার ভিন রাজ্যে কাজ করতে চলে যায়। গত চারদিন আগে ভিন রাজ্য থেকে কাজ সেরে বিহারের বীরনগরে চলে যান। শনিবার রাতে অনিল ঋষি পরিবারকে খবর দেওয়া হয় যে তার ছেলে মারা গেছেন। এই খবর পেয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

রবিবার সকালে অনিল ঋষির আত্মীয়রা একটি এম্বুলেন্সে তার দেহ নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। মৃতদেহের সঙ্গে আসেন তার স্ত্রী এবং তার শ্বশুড় শ্বাশুড়ি। অনিলের মৃত দেহ গ্রামে পৌছাতেই এলাকার মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর জানাজানি হতেই গ্রাম বাসিরা অনিলের বাড়ির সামনে ভিড় জমান।

গ্রামবাসিদের জেরায় অনিল ঋষির স্ত্রী স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করেন।মৃত অনিলের স্ত্রী দাবি করেন তার জামাইবাবু স্বামীকে খুন করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চাকুলিয়া থানার পুলিশ। অনিলের ঘটনায় পুলিশ তার স্ত্রী নিলম ও তার শ্বশুড় শ্বাশুড়ি সহ এক নাবালক কে আটক করে । পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।