শেখার কি শেষ আছে?এবার কাজের মেয়ে সরস্বতীর কাছে শিখি।

শেখা
তমাল সাহা

সরস্বতী আমার স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করে।
সকালে এক হাতে চায়ের কাপ, অন্য হাতে খবরের কাগজ নিয়ে রোজকার মতো আজও আমার পড়বার ঘরে এসে দাঁড়ায়।

‘কাকু! একটা কথা বলবো? কাল যখন ফিরছি, ভোট এসেছে তো তাই, ওরা ভাষণ দিচ্ছে।
কানে একটা কথা ভেসে এলো–
দেশ চলে যাবে কার পকেটে?
জল, জমি, জঙ্গল, নদী এমনকি সমুদ্রও ওরা বেচে দেবে।
এসব চলে যাবে কার পকেটে?

‘তা কাকু! কার পকেটে দেশ যাবে গো? পকেটটা কত বড়? এতসব জিনিস ধরবে?’
আরও বলে, ‘দেশ পকেটে চলে গেলে আমরাও তো পকেটে ঢুকে যাবো!’

আমি বলি, কেন?

‘আরে! আমরাও তো দেশের মধ্যেই থাকি, নাকি! দেশ পকেটে ঢুকে যাবে আর আমরা বাইরে থাকবো, তা হয় নাকি?’

আমি সরস্বতীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি। তার হাতে বই নেই, বীণা নেই। ‘কর্পোরেট’-এর বাংলা এত বাস্তব সদর্থক হতে পারে! আমি আশ্চর্য হয়ে যাই।

‘কর্পোরেট’-এর বাংলা ‘কার পকেট!’