অবতক খবর,১৫ নভেম্বরঃ আজ শিশু দিবসের দিনে মর্যান্ত্রিক দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন লিলুয়ার দাসপাড়ার মনসা কলোনির বাসিন্দা 19 বছর বয়সী রাহুল পাসওয়ান এলাকার মানুষের কাছে জানা যায়, রাহুলরা চার বন্ধু মিলে লিলুয়ার উদয়গড় কলোনির একটি পুকুরে স্নান করতে নামে সকাল 11 টা নাগাদ বেশ দীর্ঘক্ষন চারজনে মিলে পুকুরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত সাঁতার কাটে এমনই একটি সময়ে এক প্রান্ত থেকে সাঁতার কেটে চারজনেই ফিরছিলেন এ প্রান্তে তিন বন্ধু পারে এসে দেখে রাহুল তাদের মধ্যে নেই বহু ডাকাডাকি করার পরেও রাহুলের সাড়া না পাওয়ায় তখন তিন বন্ধু মিলে পুকুরের মধ্যেই রাহুলকে খুঁজতে থাকে ঘন্টাখানেক খোঁজার পর তারা হাল ছেড়ে বাড়ি তাদের বাড়ি ফিরে যায় এবং রাহুলের বাড়িতে জানায় ঘটনার কথা রাহুলের বাড়ির লোক কাঁদতে কাঁদতে পুকুরের কাছে আসে বাড়ির লোকের কান্না শুনে পুকুরের আশেপাশের বাড়ি থেকে লোক জন বেরিয়ে আসেন তারপরে খবর দেওয়া হয় লিলুয়া থানায় নিলুয়া থানা র পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে সবকিছু শোনার পর তারা সিদ্ধান্ত নেয় পুকুরে জাল ফেলাবার সেই মতো জেলে এনে মাছ ধরার জাল ফেলে দু আড়াই ঘণ্টা খোঁজে তাতে রাহুলের কোন খোঁজ পাওয়া যায় না তখন পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশের ডুবুরি আনার বিকেল চারটে নাগাদ থানার পুলিশ সহযোগে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ডুবুরিরা আসেন তারপর একজন ডুবুরি তাদের সাজসজ্জা সহকারে জলে নামেন এবং 10 মিনিট পর জল থেকে তুলে আনেন রাহুলের নিথর দেহ পরবর্তীকালে লিলুয়া থানার পুলিশ রাহুলের দেহ ম্যাটাডোর গাড়ি করে হাওড়া হাসপাতালে উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কান্নায় ভেঙে পড়ে রাহুলের পরিবারের লোকজন

রাহুলের বাড়ির লোকের কাছে জানা যায় রাহুল এখানে দাসপাড়া, লালগেটে ভাড়া থাকেন তার ভাই বোনদের সাথে তার আদি ও আসল বাড়ি বিহারের হাজিপুরে সে এখানে গেঞ্জির কারখানায় কাজ করতো

লিলুয়া থানার আধিকারিকদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম রাহুল কিভাবে জলে ডুবে মারা গেল তার অনুসন্ধান করবেন লিলুয়া থানার পুলিশ।