অবতক খবর,২৬ জুলাই,ডায়মন্ড হারবার: দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগরের রুদ্রনগর এর বছর আড়াই এর এক শিশু সৌরনীল জানা হঠাৎই খেলার ছলে একটি সেফটিপিন খেয়ে ফেলে। এরপরই তার পরিবারের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক্স-রে  করতে বলে ডাক্তারবাবুরা।

আর তখনই এক্স রে মাধ্যমে ধরা পড়ে সেফটিপিনটি খোলা অবস্থায় আটকে রয়েছে খাদ্যনালীতে। আর যা দেখে চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারের লোকজন। পরিবার সূত্রে জানা যায় গঙ্গাসাগর রুদ্রনগর এলাকার বাসিন্দা বাবা দীপঙ্কর জানা ও মা সুজাতা জানার একমাত্র সন্তান সৌরনীল।

গতকাল বাড়িতে খেলা করছিল শিশুটি ঠিক তখনই খেলার ছলে সেফটিপিন খেয়ে ফেলে। এরপরই তার জেঠু চেষ্টা করে সেফটিপিন টি বার করতে গেলে সেটি চলে যায় একেবারে সোজা খাদ্যনালীতে। এরপরই পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে শিশুটির প্রাণ ফিরে পাবে কিনা তা নিয়েও ছিল সংশয়।

তড়িঘড়ি শিশুটিকে নিয়ে পরিবারের লোকজন যায় গঙ্গাসাগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে জান আর সেখানেই তাদেরকে প্রথমেই এক্সরে করতে বলে সেফটিপিনটি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে তার অবস্থান জানার জন্য। একসাথেই দেখা যায় সেফটিপিনটি শিশুটির একেবারে খাদ্যনালীতে আটকে রয়েছে এবং সেফটিপিনটি খোলা অবস্থায়। তখনই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার তৈরি করি শিশুটিকে নিয়ে আসা হয় ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে।

আর সেখানেই ডাক্তারবাবুদের তৎপরতায় প্রাণ রক্ষা হয়ে যায় শিশুটির।ডক্টর দিপ্তেন পাল, ডক্টর সোহম ব্যানার্জি, ডক্টর রুপম জানা দীর্ঘ এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় সার্জারির মাধ্যমে খাদ্যনালী থেকে বের করা হয় খোলা সেফটিপিন টিকে।

মূলত এই ধরনের সার্জারি করতে সাধারণত যেতে হয় কলকাতায় কিন্তু ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে এই সাফল্য আরো একবার সাধারণ মানুষের আজ তার বড়সড় মাপকাঠি হয়ে দাঁড়ালো। এদিন শিশুটি স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া করে এবং যথেষ্ট সুস্থই রয়েছে। আর যাতে খুশি পরিবারের লোকেরা।