অবতক খবর, শিলিগুড়িঃ গাঁজা, ড্রাগস,হেরোইন,ব্রাউন সুগার,লামার রমরমা কারবার চলছে শিলিগুড়ি শহরে। গোটা শহরে চলছে রমরমা মাদক কারবার। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ হাজারো চেষ্টা করেও ব্যর্থ  এই কারবার বন্ধ করতে। মাদক কারবারিরা  ছড়িয়ে পড়েছে শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন থানা এলাকায়। সবচেয়ে বেশি মাদকের এর কারবার চলছে শিলিগুড়ি প্রধান নগর থানা, মাটিগাড়া থানা, ভক্তিনগর থানা ও নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকায়।

লামা হেরোইন ব্রাউন সুগার এর পাশাপাশি রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট, ফলে শহরের তরুণ ও যুব প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে। কাফ সিরাপ থেকে শুরু করে ঘুমের ইঞ্জেকশন সবকিছুর নেশায় মেতেছে শহরের একটি শ্রেণীর তরুণ এবং যুব প্রজন্ম। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি থানা দফায় দফায় অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ এই ্মাদক কারবার বন্ধ করতে। মাটিগাড়া থানার পাকিস্তান বস্তি থেকে শুরু করে প্রধান নগর থানার চম্পাসারি এলাকা। নিউ জলপাইগুড়ি থানার মাদানী বাজার থেকে শুরু করে আসি ঘর আউটপোস্ট এর কানকাটা মোর সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে ড্রাগ এবং বেআইনিভাবে মদ। বেআইনি মদ বিক্রির বিরুদ্ধে প্রতিটি থানা লাগাতার অভিযান করেও শহরে বিক্রি বন্ধ করতে পারেনি। ঠিক তেমনি গাজা এবং ড্রাগস কারবারীদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান করেও মিলছে না কোন ফল।

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এর বেশিরভাগ হোটেলেই বেআইনিভাবে বিক্রি হচ্ছে মদ। বাড়ি ভাষা মাদানী বাজারের খোকন থেকে শুরু করে জলেশ্বরী বাজারের জামাই হোটেল সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে বেআইনিভাবে মদ। ইস্টার্ন বাইপাসে কানকাটা মোড় থেকে শুরু করে নরেশ মোড় শাহ ব্রিজ সর্বত্র ড্রাগস কারবারিদের ডেরা। কানকাটা মোড়ের গাঁজারু বুড়ি সারাদিনে কয়েক লক্ষ টাকার গাঁজা বিক্রি করে বলে জানা গিয়েছে। ঠিক তেমনি জলেশ্বরী বাজারের দারু আলীকে কে না চেনে। জলেশ্বরী এলাকার টুপাই, চা পাতা বাগান এলাকার পোসান, কানকাটা মোড় এলাকার শংকর ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় ড্রাগস কারবারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাফিয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কানকাটা মোড়ের মোট ছয়টি ঠেলা ভ্যান পান-সিগারেটের দোকানে রমরমা বিক্রি হয় মদ ড্রাগস এবং গাঁজা। মাঝেমধ্যেই শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযান হলেও পুনরায় অব্যাহত এই মাফিয়াদের দাপট ও কারবার।

সোমবার ইস্টার্ন বাইপাস এর জলেশ্বরী এলাকাতে মদ বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়োসড়ো গন্ডগোল বেঁধেছিলো। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম হাতিয়া ডাঙ্গার বাসিন্দা গোবিন্দ জলেশ্বরী বাজার এলাকায় মদ কিনতে যায় দারু আলীর কাছে সেখানেই টু পাই পোসান এবং শংকরের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে যায় সে। লাঠি পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় গোবিন্দকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার চলছে তার। ঘটনার খবর পেয়ে আশিঘর আউটপোস্ট এর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতকে উদ্ধার করে এবং এলাকা ফাঁকা করে দেয়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় রমরমা চলছে বেআইনিভাবে মদ বিক্রি এবং ড্রাগস গাঁজার কারবার। অব্যাহত রয়েছে পুলিশের অভিযান কিন্তু কোনমতেই রোখা যাচ্ছেনা ডি কারবারিদের। গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত শহরের ওয়াকিবহাল মহল। শিলিগুড়ি জংশন সংলগ্ন বেশকিছু দোকানে রমরমা বিক্রি হয় বেআইনিভাবে মদ গাঁজার পুরিয়া এবং ড্রাগস বলে জানা গিয়েছে। ঠিক তেমনি দেবী ডাঙ্গা চম্পাসারি এবং প্রধান নগর এলাকাতে রমরমা বিক্রি হচ্ছে মদ গাঁজা ও ড্রাগস বলেও জানা গিয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন বেশকিছু হোটেলে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বেআইনিভাবে মদ। জলেশ্বরী বাজারে এবং হাতিয়া ডাঙ্গা বাজারে বেশ কিছু হোটেলে মদ-গাঁজার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ড্রাগস। শহরের বেশকিছু এলাকাতে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ও। শিলিগুড়ি থানার অন্তর্গত ঝংকার মোড় আশ্রমপাড়া এলাকাতেও মদ বিক্রি এবং গাঁজা ও ড্রাগস এর কারবার চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সবমিলিয়ে শিলিগুড়ি শহরের রমরমা চলছে ডি-কোম্পানির কারবার। সূত্রের খবর এই কারবারের কিংপিন বসে রয়েছে ঝংকার মোড় এবং মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত পাকিস্তান বস্তি এলাকায়। ঝংকার মোড়ের তমন্নার নেটওয়ার্ক শহরের ড্রাগস কারবারের দায়িত্ব সামলাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর রয়েছে। বিভিন্ন দোকানে ওই নেটওয়ার্কের অপারেটররা সময় মতো পৌঁছে দিচ্ছে হেরোইন লামা গাঁজার পুরিয়া থেকে শুরু করে ইয়াবা ট্যাবলেট পর্যন্ত। আর এক শ্রেণীর তরুণ যুবারা এই নেশায় আসক্ত হয়ে নানান অপরাধ জগতের কাজকর্ম ঘটাচ্ছে। সোমবার রাতে ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় গন্ডগোল এর জেরে ব্যাপক অশান্তি এবং আতঙ্ক ছড়ায়।