অবতক খবর,৭ অক্টোবর: ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শিয়ালদহ লাইনে আপ-ডাউন মিলিয়ে ২১টি ট্রেন চলছে। তারমধ্যে ১১টি আপ ট্রেন,১০টি ডাউন ট্রেন। আপে অলস্টপ ট্রেন ৮টি এবং ডাউনে ৭টি। বলা হচ্ছে এই ট্রেনগুলি রেলওয়ে স্টাফ স্পেশাল এবং যারা ইমারজেন্সি কাজে নিযুক্ত তারাই কেবল মাত্র এই ট্রেনগুলিতে উঠতে পারবেন।

এখন প্রশ্ন সরকারি কর্মীরা তারা তাদের মাসিক বেতন পাচ্ছেন, কিন্তু দিনমজুর বা সাধারণ মানুষ যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তারা কি করবেন? তাদের জন্য কোনোরকম ট্রেনে চড়ার সুব্যবস্থা করেনি সরকার। তাহলে এদের দিনরুজি কি করে হবে? এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। দেখা গেছে, যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, ছোটখাটো কলকারখানায় কাজ করেন,তাদের কয়েকজন ট্রেনে উঠেছিলেন এবং ট্রেন থেকে কাঁচরাপাড়া স্টেশনে নামলে জিআরপি তাদের আটক করে এবং তাদের জরিমানা করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেইসব যাত্রীরা অসহায়ভাবে কাঁদতে থাকেন। তারা জিআরপির কাছে জানতে চান যে, সরকারি কর্মচারী, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মাসিক বেতন সঠিকভাবে পাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের করুণ পরিস্থিতি। তারা তাদের শাস্তি মুকুব করার জন্য প্রায় তাদের হাতে পায়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। যাই হোক শেষ পর্যন্ত সেই জিআরপি তাদের উপর সদয় হন এবং তাদের ছেড়ে দেন।

আসলে বিষয়টি এখানে নয়। এই সমস্ত মানুষ লকডাউনের কালে তাদের রুটিরুজির কোনরকম নিশ্চিত উপায় নেই,রোজগার বিহীন, তাদের কি অবস্থা হবে, তারি এই যে ছোটখাট কলকারখানায় গিয়ে কাজ করছিলেন দৈনিক মজুর হিসেবে, তাদের দিকে সরকার তাকাচ্ছে না কেন, তাদের কি হবে? লকডাউন তো চলবে দীর্ঘদিন। কিন্তু যে মানুষের পেটে ভাত নেই, রুটি নেই, যে তার সংসার পরিবার চালাতে পারছে না,তাদের জন্য কি ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করছেন?;

এই একটি করুণ দৃশ্য দেখা গেল কাঁচরাপাড়া স্টেশনে। এর কি প্রতিকার? স্টেশনের মানুষজনেরা সেই সমস্ত অসহায় যাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ভিড় হয়ে গিয়েছিল, মানুষ বুঝতে পারছিলেন না এই অসহায় মানুষগুলো কি করবেন। আজকে এই অবস্থায় চলছে সাধারণ মানুষের দিন।.