অবতক খবর,২৪ মে: আবারও আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম। এবার বাল্যবিবাহ রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হলো। নদীয়া জেলার কল্যাণী ব্লকের অন্তর্গত শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতের আটলে কুমারপুর অঞ্চলে এই ঘটনাটি ঘটে।আমরা জানি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম। কিন্তু তাদের বারবার আক্রান্ত হতে হচ্ছে।

কুমারপুরের বাসিন্দা সুরজিৎ রায় ও নদীয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা সুস্মিতা দুর্লভ গত তিনদিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে, আইনের নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। দুই পক্ষের বাড়ির লোক সসম্মানে মেনে নেয় তাদের এই সিদ্বান্ত এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সবই ঠিকঠাক ছিল, রান্নাবান্নার তোড়জোড় থেকে শুরু করে বিয়ের বাজনা সবই ছিল, অতিথিরাও উপস্থিত ছিলেন,পরিবেশ তখন এক আনন্দ উজ্জ্বলময়। সবই ঠিকঠাক কিন্তু হঠাৎই যেন আনন্দের পরিবেশ মুহূর্তে এক নিরানন্দে পরিণত হয়ে উঠলো। বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত স্বয়ং কল্যাণী ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক দপ্তরের আধিকারিকরা ও চাকদহ থানার পুলিশ প্রশাসন। উপস্থিত হয়ে তারা দুই পক্ষের কাছে পাত্র-পাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্র দেখতে চান। দেখামাত্রই চক্ষুচড়কগাছ তাদের।

পাত্র পাত্রীর জন্য আইন যে বয়সের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছে। সাথে সাথেই অনুষ্ঠান বন্ধ করবার নির্দেশ দেন আধিকারিকরা এবং তারা বলেন এখন বিবাহ সরকারি নীতি বিরুদ্বে তাই তারা এই অনুষ্ঠান বন্ধ করবার নির্দেশ দেন। নির্দিষ্ট বয়স না হওয়া পর্যন্ত দুজনকেই আলাদা ভাবে নিজেদের মতো জীবনযাত্রা করতে হবে আর তা না হয় সরকারি নিয়ম নীতি মেনে হোমে যেতে হবে।

আর যদি দুই পক্ষ আলাদাভাবে জীবনযাত্রা করে তাহলে দুই পক্ষকেই লিখিত দিয়ে থাকতে হবে। হঠাৎ তখনই কোন রকম ছবি তোলা যাবেনা এই অভিযোগ টেনে সংবাদকর্মীর ওপর চড়াও হয় পাত্রের বাড়ির লোকজন । সাথে সাথে পরিস্থিতি সামাল দেয় চাকদহ থানার পুলিশের ও আধিকারিকরা। সাথে সাথেই পুলিশ ও ব্লকের আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে পাত্রীর পরিবারকে শান্তিপুরে ফিরে যাবার নির্দেশ দেন।