অবতক খবর,২৯ মার্চঃ শিবা তুমি কার? দুঃসময়ে তুমি চলে যাচ্ছো অর্জুন/শুভ্রাংশুর দিকে,আবার সুময়ে তুমি চলে যাও বিধায়ক/অধিকারীর দিকে। বীজপুরের রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র সবাই জানে। কারণ ২০১৯-এর পর মানুষ দেখেছে এবং মানুষ জানে যে বীজপুরের রাজনৈতিক নেতারা শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে রাজনীতি করে। ২০১৯ নং সালে দেখা গিয়েছিল পরিবর্তন। এই দলবদলু নেতারা এখনো দল বদলানো ছাড়েনি। সেই সময় এই নেতারা মানুষের হাসির খোরাক হয়েছিল,আর এখনো মানুষের কাছে হাসির খোরাক হয়ে রয়ে গেছে তারা।নেতাদের কর্মকাণ্ড দেখে বীজপুরের মানুষ এখন তাদের দেখে হাসছে। এই নেতাদের উপর থেকে মানুষের ভরসা উঠে গেছে।

সাংসদ অর্জুন সিং দলে ফেরার পর বীজপুর থেকে সর্ব প্রথম তাঁর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন হালিশহর ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস। তারপর তিনি ছুটে গিয়েছিলেন মুকুল রায়ের বাড়িতে,মিটিং করেছিলেন শুভ্রাংশু রায়ের সাথে। এরপর একসময়ে তাঁর সাথে একটি ছোট্ট ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সেই ছোট্ট ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করেছিলেন তিনি। নিজেকে প্রচারের আলোয় আনতে তিনি সাময়িক খেলা ঘুরিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জানা যায় তিনি যে বলেছিলেন যে, তিনি আক্রান্ত এবং আতঙ্কিত,সেই কারণে তিনি নিরাপত্তা পেলেন। কিন্তু সমস্ত কিছুই ছিল মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য।

মৃত্যুঞ্জয় দাসের সঙ্গে তর্কাতর্কি কথা কাটাকাটি হয়েছিল। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু যখন একটি ভিডিও সামনে এলো তাতে দেখা গেল তিনি আক্রান্তই হননি। সেই ঘটনাটি যে মৃত্যুঞ্জয় দাস সাজিয়ে অতিরঞ্জিত করেছিলেন তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছিলেন। সেই রাতেই তাঁর কাছে ছুটে এসেছিলেন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমানে কাঁচরাপাড়া পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান শুভ্রাংশু রায়। পরের দিন ছুটে যান সাংসদ অর্জুন সিং।

 

সেটি ছিল তাঁর দুঃসময়। আর নওই দুঃসময়ে তিনি কাউকেই পাশে পাননি। পাশে পেয়েছিলেন দুই নেতাকে। কিন্তু কি হলো! দুঃসময়ে তিনি এই দুই নেতার কাছে গিয়েছিলেন এবং সুসময়ে তিনি গেলেন অধিকারীদের কাছে।

বসন্ত উৎসব হোক কিংবা দলের গেট টুগেদার, সেখানেও তিনি অধিকারীদেরই ডেকেছিলেন। সুসময়ে তিনি ভুলে গেলেন দুঃসময়ের নেতাদের।

অদ্ভুত এই পরিস্থিতি দেখছে বীজপুরের সাধারণ মানুষ।

মৃত্যুঞ্জয় দাস যেদিন গেট টুগেদারে আয়োজন করেছিলেন সেই দিনই তাঁরই ওয়ার্ডে অর্থাৎ ৪ নং ওয়ার্ডে দেবাশীষ পালের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল নৈশ ভোজ। মৃত্যুঞ্জয় দাসের গেট টুগেদারে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মীরা।

মূলত ৪ নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা তৃণমূল নেতা দেবাশীষ পাল এবং মধুসূদন ঘোষের উদ্যোগেই এই দোল মিলন উৎসব আয়োজিত হয়। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের পুরনো কর্মী থেকে শুরু করে বুথ কর্মী, শিক্ষক, আইনজীবী এবং সমাজের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।

এখন দেখার বিষয় যে,সুখ-দুঃখ তো লেগেই থাকবে,তবে কি শিবাও সুখ দুঃখের মতো পরিবর্তন করতেই থাকবেন?

অন্যদিকে অধিকারীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন অর্জুন পন্থীদের এই অঞ্চল থেকে সাফ করার। অর্জুন পন্থীদের নিজের দিকে টানার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। সূত্রের খবর,কাঁচরাপাড়ার তৃণমূল নেতা সুজিত দাস,যিনি বারবার অর্জুন সিংকে শহরে ডাকেন, তাঁকেও বারবার কিছু না কিছু অফার দেওয়া হচ্ছে,যাতে তিনি অর্জুন সিং-এর সাথে কোনরকম যোগাযোগ না রাখেন।

বীজপুরের অদ্ভুত এই পরিস্থিতি, নেতাদের এই কার্যকলাপ আগামীতে কোন পথে এগোয় তা নজরে রাখছে অবতক খবর। চোখ রাখুন….