অবতক খবর,২৯ সেপ্টেম্বর: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার পতিরাজপুর অঞ্চলের শিবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৬০০। বিদ্যালয় মানে পড়াশুনা এই কথাটা প্রথমে মাথায় আসলেও অন্য সব বিদ্যালয় থেকে এই বিদ্যালয়ের আকর্ষনের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠনের একঘেয়েমি কাটাতে এবং তাদেরকে নানান প্রজাতির রঙ বেরঙের পাখিদের সাথে পরিচয় করানোর লক্ষ্যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আস্ত একটি পখিরালয় নির্মান করে ফেলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই উদ্যোগে স্বাভাবিক ভাবে চারিপাশে ব্যপক সাড়া ফেলেছে শিবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এই পাখিরালয়ে আছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পাখিদের কিচির মিছির আওয়াজে গম গম করে স্কুল প্রাঙ্গণ। যেহেতু গত ২০২০ সাল থেকে করোনা আহবে লকডাউন এর ফলে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পাশি তেমন ভাবে না দেখতে পেয়ে হতাস ছাত্র ছাত্রীরা। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাখিদের যেন কোন অসুবিধা না হয় সেই কারনে একজন অশিক্ষক কর্মচারীকে নিযুক্ত করেছেন প্রথম থেকেই পাখিদের দেখভালের জন্য। তিনি পাখিদের খাওয়ার দেওয়া সহ পরিচর্জা করেন।তবে লকডাউন এর আগে বিদ্যালয় খোলা থাকলে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এসে পরাশোনার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে পাখিরালয়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখে আনন্দ মুখর হয়ে উঠতো। বছর খানেক ধরে লকডাউনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা পাখি দেখতে না পারাই মোন খারাপ বলে জানায় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা। তবে বেশ কিছু দিন ধরেই বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন চালু না হলেও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য অফিস খোলা হয় মাঝে মধ্যে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা উপস্থিত হন নানান কাজে। সেদিন সেদিন ছাত্র ছাত্রীরাও বিভিন্ন অফিসের কাজে স্কুলে এসে ফাঁকা সময় মতো বিদ্যালয়ের পাখিরালয়ে গিয়ে পাখি দেখে আনন্দ মুখর হয়। আবারো কোন ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের গেট খোলা থাকলেই পাখি দেখতে ঢুকে পরে বিদ্যালয়ে। মূলত, গ্রামীণ এলাকার বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের সঙ্গে পরিচিত নন। তাই ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের পাখি সঙ্গে পরিচয় করানোর পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রজাতির পাখির জীবন যাপন তুলে ধরেন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে। তাঁতে ছাত্র ছাত্রীরা সব দিক থেকে উপকৃত হবে এবং একখেয়ামি কাটিয়ে স্কুলমুখী হয়ে পড়াশুনাতে মনোযোগী হয় ছাত্র ছাত্রীরা বলে জানাযায়।