অবতক খবর,৮ সেপ্টেম্বরঃ বৈদ্যবাটি কাজিপারার বাসিন্দা তারক ও মঞ্জু রায়ের ছেলে অরিত্র রায় বৈদ্যবাটির কল্পনা বসু এ্যাকাডেমির সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র।গত তিন বছর ধরে সে কাজিপারা ধানমাঠ এলাকার গৃহশিক্ষিকা জাহানারা বিবির কাছে প্রাইভেট পড়ে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন সন্ধায় শিক্ষিকার বাড়িতে যায় সে।অভিযোগ সেসময় শিক্ষিকার নাবালিকা মেয়ে বাড়িতে একাই ছিল।ছাত্র নাবালিকার সঙ্গে অশালীন আচরন করে।মা বাবা বাড়িতে এলে ঘটনার কথা জানায় নাবালিকা।এরপর শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অরিত্রও হাজির হয়। তার মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরন করেছে বলে মারধোর করে গৃহশিক্ষিকা ও তার স্বামী।

এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে অরিত্র।গৃহশিক্ষিকার বাড়ি থেকে আর বাড়ি ফেরেনি।এরপর শিক্ষিকা ছাত্রের বাড়িতে খবর দেয়।সাতটা নাগাদ শিক্ষিকার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানতে পারেন অরিত্রর অভিভাবকরা।শিক্ষিকার বাড়ি থেকে কোথায় গেল ছেলে জানতে খোঁজ শুরু করে অরিত্রর বাবা মা।পরদিন শেওড়াফুলি ফাঁড়িতে অপহরনের অভিযোগ দায়ের করে।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তবে এখনো ছাত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ছাত্রে মা মঞ্জু রায় বলেন,শিক্ষিকা ডেকে আমাদের ঘটনার কথা জানায়।বলে আমার ছেলে নাকি তার মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে।অন্য ছাত্রদের মুখে শুনলাম শিক্ষিকা ও তার স্বামী ছেলে খুব মেরেছে।আমার ছেলে এমন করতে পারেনা।ওরাই কোথাও লুকিয়ে রেখেছে,আমি কিছু জানিনা আমার ছেলে চাই।

গৃহশিক্ষিকার দাবী তার মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরনের কারনে তিনি ও তার স্বামী বকাঝকা করে চর মেরেছিলেন।তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।তার বাড়িতে চল্লিশ জন পড়তে আসে সতের বছর ধরে তিনি গৃহশিক্ষিকতা করছেন।অরিত্রকে তিনি তিন বছর ধরে পরাচ্ছেন, একটু দুষ্টু সে কিন্তু এধরনের আচরন করেনি আগে।বাড়িতে বলে দেবো সেই ভয়েই হয়ত কোথাও চলে গেছে।

চার দিন কেটে গেছে এখনো কোনো খোঁজ নেই অরিত্রর কেঁদে চলেছেন মা।

চন্দননগর পুলিশ জানিয়েছে,এর আগে বাড়িতে বকা খেয়ে কয়েকদিন বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল ছাত্র, সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজা হয়েছে।সব থানাকে মেসেজ করা হয়েছে।সন্ধান পেতে রেল স্টেশন লঞ্চঘাট গুলোতে ছবি দিয়ে পোস্টারিং করা হবে।