অবতক খবর,৪ জুলাইঃ শিকল বন্দী হয়ে জীবন কাটাচ্ছে সাগরের মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। পরিবারের চরম আর্থিক অনটন অর্থের অভাবে যুবকের চিকিৎসা করতে পারছে না পরিবারের লোকজনেরা। কার্য তো বাধ্য হয়েই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে যুবকে। ঘটনাটি দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার সাগর বিধানসভার অন্তর্গত মুড়িগঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কশতলা গ্রামে। তপন বেরার মেজ ছেলে রবীন্দ্রনাথ বেরা(২১)। তপন বাবু দিনমজুর কোনরকম টেনেটুনে চলে সংসার।

ছোটবেলা থেকেই অভাবের সঙ্গে বেড়ে ওঠা সেই জন্য পড়াশোনা বেশি দূর করা সম্ভব হয়নি রবীন্দ্রনাথের। পরিবারের হাল ফেরাতে খুব কম বয়সে কাজের জন্য ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের ইনকামে ধীরে ধীরে সচ্ছল রেরা পরিবার। এরপর দেশে হানা দেয় করোনা মহামারী। করোনা মহামারী জেরে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসে রবীন্দ্রনাথ। ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদে ভুকতে শুরু করে । ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ।

দিনমজুর পরিবারের অতটাও আর্থিক সমর্থ্য ছিল না চিকিৎসা করানোর জন্য। ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা রবীন্দ্রনাথ । অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না পরিবারের লোকজনেরা। কার্যত বাধ্য হয়েই বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে ছেলেকে। তপন বাবু আজ জানান, আমার তিন ছেলে তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ হচ্ছে মেজো ছেলে। চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছিল পরিবার।

পরিবারের হাল ফেরাতে ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দেয় ছেলে। করোনার জেরে কাজ হারিয়ে বাড়িতে চলে আসে তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। আমাদের পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। অর্থের অভাব ছিল চিকিৎসা করাতে পারছি না এর উপর প্রতিবেশীদের উত্তপ্ত করছে। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই বেঁধে রাখতে হয়েছে। সরকারি সাহায্য পেলে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে রবীন্দ্রনাথ।

এমনটাই আজ জানালেন রবীন্দ্রনাথের বাবা তপন বেরা

সাগর বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, আমরা ইতিমধ্যে খোঁজখবর নিচ্ছি। পরিবারের লোকজন স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বি ডি ও অফিসে যোগাযোগ করেনি। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি, ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলছি। খুব দ্রুতই ওই যুবকের সরকারি সাহায্যের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হবে।