শান্তিপুর বাইপাস সংলগ্ন যাত্রী প্রতীক্ষালয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নপ্রায়

অবতক খবর, নদীয়া: বাইপাস চালু হওয়ার আগে, শান্তিপুর শহরের মধ্য দিয়েই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বিস্তৃত ছিল। বাড়তি সুযোগ হিসেবে, শান্তিপুরবাসী ৫ টি বাসস্টপ থেকে ওঠানামায় অভ্যস্ত ছিল। সুদূর কলকাতা থেকে ডোমকল ,কাঁথি, বহরমপুর, মালদা, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে যাওয়ার একমাত্র প্রধান রাস্তা শহরের আঁকাবাঁকা জনবসতি পূর্ণ পথের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার অসুবিধায় এবং বাইপাস চালু হওয়ার সুবাদে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় শহরবাসী। যদিও এই বিষয়ে ভোটে জেতার পর বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য অনেকবার বক্তৃতায় বললেও চালু হয়নি আজও।

স্বভাবতই মনের দুঃখ মনে রেখেই দু তিন কিলোমিটার পথ, বিভিন্ন উপায়ে পৌঁছে তারপর দূরপাল্লার বাস ধরতে যেতে হয়।
বাইপাস সংলগ্ন শহরের একেবারে প্রান্তে ,বাবলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পথের ধারে, প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দেব এলাকার উন্নয়নের তহবিলে গড়া ঝকঝকে বাস স্ট্যান্ড পেয়ে দুঃখ ভুলে ছিলেন অনেকেই। কিন্তু অন্যান্য সমস্ত সরকারি স্থাপত্যর মত নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে, দেখভাল করার উপযুক্ত দায়িত্ব কাউকে না দেওয়ায় বছর দুয়েকের মধ্যেই ভগ্নপ্রায় অবস্থা দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় দোকানদার পাণ্ডব সাহা জানান, প্রথম থেকেই বর্ষাকালে বৃষ্টির সমস্ত জল যাত্রী প্রতীক্ষালয়টির মধ্যেই পড়ে। আগেও একবার চেয়ার গুলি ভেঙে গিয়েছিল। এলাকার এক গ্রিলের দোকানদার বিনা খরচে সারিয়ে দিয়েছিলেন। এবার শান্তিপুর পৌরসভায় বহুবার জানিয়েও মেলেনি ফল, তাই নিত্যযাত্রী কিছু শিক্ষক যারা শান্তিপুর থেকে শহরের বাইরে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন শিক্ষকতা করতে, তারা নিজেরা সকলে অর্থ দিয়ে সারানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

বাবলা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিরঞ্জন দাস জানান “বাড়ি ,ব্যবসা, অঞ্চল পার্টি অফিস সবটাই খুব কাছাকাছি হওয়ায় প্রথম থেকে খেয়াল করি বিষয়গুলোকে। বহুবার জানিয়েও কোনো সুব্যবস্থা মেলেনি।”
জেলা পরিষদ সদস্য নিমাই বিশ্বাস জানান, প্রতিদিন তিনি জেলা পরিষদে যান, এখান থেকে বাস ধরে। আজ থেকে ৫ মাস আগে যখন দেখেছিলেন, ফোন করে জানিয়ে ছিলেন পৌরসভায়। তারপরও বেশ কয়েকবার জানিয়ে, আশাহত হয়েছেন। তাই শিক্ষকদের এ ব্যবস্থায় আনন্দিত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।