শান্তিপুর পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে কাউন্সিলর পৌঁছে গেলেন ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি

অবতক খবর, নদীয়া: জীবনের প্রথম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার নামই মাধ্যমিক। এ দিনটা প্রত্যেকের জীবনে চিরস্মরণীয়। নানান দুশ্চিন্তা ভয়-ভীতি আশা-প্রত্যাশা নিয়ে অদ্ভুত এক অনুভূতি। সেই সময় শিক্ষক, আত্মীয়-স্বজন অভিভাবক সকলে পাশে থেকে যোগায় সাহস। এর থেকেও একধাপ এগিয়ে জনপ্রতিনিধিদের পাশে থাকার দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা আজ সাক্ষী থাকলো শান্তিপুর পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

ওই ওয়ার্ডেরই প্রাক্তন কাউন্সিলর বৃন্দাবন প্রামানিক বর্তমান কাউন্সিলর সুপ্রীতি প্রামাণিকের স্বামী। সকাল দশটায় দলীয়কর্মী অনুগামীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে দেখে প্রথমে অনেকেই ভুলবশত ভেবেছিলেন আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারের উদ্দেশ্যে, কিন্তু খানিকক্ষণ বাদে বাড়িতে ঢুকে ছাত্র-ছাত্রীর নাম ধরে ডেকে, কোন স্কুলে পড়ে, কোথায় সিট পড়েছে, কোনরকম সমস্যা আছে কিনা না না খোঁজ খবর নেওয়া দেখে কারোর বুঝতে বাকি থাকল না আসন্ন মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতেই কাউন্সিলর এর আগমন। শুধু খোঁজ খবরই নয়, সাথে পেন, কভার ফাইল, ফুল এবং মিষ্টি উপহার তুলে দিলেন তাদের হাতে।

 

ওয়ার্ডের ৬০ জন পরীক্ষার্থীর লম্বা লিস্ট তার হাতে, কোন পাড়ায় কতজন পরীক্ষার্থী জানেন সবটাই। এ প্রসঙ্গে বৃন্দাবন বাবু জানান “বর্তমান সরকার বই খাতা,সাইকেল, স্কুল ইউনিফর্ম, কন্যাশ্রী টাকা সবটাই দিয়েছেন। তাই আমাদের সহযোগিতা খুব বেশি দরকার না থাকলেও। এই সময় অভিভাবক হিসেবে পাশে থাকাটাই বেশি জরুরি, মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামী হিসেবে এটুকু করতে পেরে আমি গর্বিত। আগামীতে উচ্চমাধ্যমিকেও এভাবেই পৌঁছাব সকলের কাছে। বিরোধীরা যাই বলুক , সারাবছর এ ধরনের কাজে লিপ্ত থাকার কথা জানে আমার ওয়ার্ডবাসী।”