অবতক খবর,১৯ মার্চ,মলয় দে নদীয়া:- বিজেপির সমর্থনে তৃণমূলের মুখ রক্ষা ? তৃণমূলের কখনোই বিজেপির সমর্থন প্রয়োজন হয়না দাবি বিধায়কের। শান্তিপুর পৌরবোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে, কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিআইএম। উল্লেখ্য শান্তিপুর পৌরসভার মোট চব্বিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে দুটি ওয়ার্ডে বিজেপি জয় লাভ করে বাকি 22টি তেই তৃণমূল। দলীয় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান ঘোষণা করা থাকলেও তা অগ্রাহ্য করে 16 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা শহর সভাপতি বৃন্দাবন প্রামাণিকের নাম ঘোষণা করে তৃণমূলের এক কাউন্সিলর সমর্থন করেন অপর এক কাউন্সির। পরিস্থিতি তৈরি হয় তৃণমূলের বৃন্দাবন প্রামানিক এবং পূর্বঘোষিত সুব্রত ঘোষ এর মধ্যে ভোটাভুটির। অদ্ভুতভাবে গোপন ব্যালটে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সমান সমান ভাগে ভোট পান অর্থাৎ বারোটি করে।

বিধায়কের পিতা 13 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত গোস্বামী ওই সভার সভাপতি হওয়ার কারণে পোর্টেম কাস্টিং প্রয়োগ করে সুব্রত ঘোষ কে ভোট দিয়ে দলের প্রার্থীর সম্মান রক্ষা করেন।
বৃন্দাবন প্রামাণিক অবশ্য দাবি তিনি তৃণমূল কাউন্সিলরদের সমর্থন এই বারোটি ভোট পেয়েছেন। তিনি না বললেও স্পষ্ট হয়
বাকি 10 টি তৃণমূল কাউন্সিলরের ভোট পেয়েছেন দলের ঘোষিত চেয়ারম্যান এবং আরো দু’টি বিজেপির ভোট পেয়েছেন চেয়ারম্যান। সেই ভোটেই মান রক্ষা হয়েছে তৃণমূলের। বিজেপি কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন তৃণমূলের পূর্বঘোষিত চেয়ারম্যানকে তিনি ভোট দিয়েছেন এক নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষ যাতে কোনভাবে অসুবিধায় না পরেন সে ব্যাপারে তার এই সিদ্ধান্ত। সাংসদ জগন্নাথ সরকার দলগতভাবে কাউন্সিলরের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে বিজেপির সমর্থনে বোর্ড গঠন এটা মানতে রাজি নয় ।

তৃণমূল বিধায়ক ব্রজোকিশোর গোস্বামী। তিনি বলেন সম্পূর্ণ গোপন ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। সেই কারণে পরিষ্কার নয় কাকে ভোট দিয়েছে। বিজেপির সমর্থন আমাদের প্রয়োজন হয় না। সেদিন যারা দলের বিরুদ্ধে 16 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নাম প্রস্তাব এবং সমর্থন করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছে দল। বিন্দাবন প্রামাণিক অবশ্য জানান কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতেই তার নাম প্রস্তাব করতে দেখা যায়। তবে পদ থেকে অপসারণের পর সাধারণ তৃণমূল কর্মী হিসেবে কাজ করব।

সিপিআইএমের সৌমেন মাহাতো অবশ্য, বিজেপি এবং তৃণমূল গোপন আঁতাত লক্ষ্য করছেন।