রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া ::      এমনিতেই এ রাজ্যের সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত এলাকা গুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে হাওড়া। সংক্রমণ রোধ করা যেখানে প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানেই শেষ চার দিনে হাওড়ায় সংক্রমিত আট শতাধিক এর বেশী মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন গিয়েছে জুলাইয়ের ৩০ তারিখ। সেই এক দিনেই সংক্রমিত ২৬০। যা এখনো পর্যন্ত একদিনে হাওড়ায় সর্বাধিক সংক্রমিত। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদৌ এভকবে হাওড়ায় করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব! এক্ষেত্রে যে প্রশাসনিক ও পুলিশি কড়াকড়ির এবং নজরদারি প্রয়োজন তা কি আদেও রয়েছে?

বাস্তব চিত্র বলছে সংক্রমিতের সংখ্যা যতই বাড়ুক না কেন শুধুমাত্র হাওড়া শহরের একাধিক কন্টাইন্মেন্ট জোনে প্রশাসন হেলদোল হীন। কোনটাইন্টমেন্ট জোন গুলি যেন ‘ফস্কা গেরো’ র জ্বলন্ত উদাহরণ। সরকারি তালিকা অনুযায়ী কন্টাইন্মেন্ট জোন শিতানাথ বোস যেন, মাধব ঘোষ লেন, উপেন্দ্রনাথ মিত্র লেন। অথচ সবকটিতেই চোখে পড়ল ব্যাপক প্রশাসনিক নজরদারির অভাব। যেখানে হাওড়ার মত অতি সংক্রমিত একটি জেলার কন্টাইন্মেন্ট জোন গুলিতে নজরদারি থাকা উচিত সেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নজরদারি তো নেই।

পাশাপাশি একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড রয়েছে নাম মাত্র। পাশে থাকা ফাঁক ফোকর দিয়েই অবাধ যাতায়াত সাইকেল থেকে বাইক সবকিছুরই। সেই সঙ্গে হেঁটেচলে যাতায়াত তো রয়েছেই। শেষ নয় এখানেই, মাধব ঘোষ লেনের ছবিটা আরও মারাত্মক। এখানে ইচ্ছাখুশী মত ব্যারিকেট নিজেরাই সরিয়ে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ থেকে বাইক আরোহী। নিরাপত্তার দ্বায়ীত্বে নেই পুলিয়াহকর্মীরাও।