অবতক খবর ,অভিষেক দাস,মালদা :-  করোনার থাবা শতাব্দী প্রাচীন মালদা শহরের কোঠাবাড়ি চুনিয়াপাড়ার লক্ষী পূজোয়। এবছর প্রাচুর্য কমেছে পুজোর। নেই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন। পাঁচ দিনের পরিবর্তে মেলা বসেছে একদিনের। উল্লেখ্য ইংরেজবাজার পৌরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের কোঠাবাড়ি চুনিয়াপাড়ায় প্রায় ১০০ বছর ধরে হয়ে আসছে জেলার সর্ববৃহৎ লক্ষ্মীপুজো।

এখানে লক্ষীর সাথে কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, অন্নপূর্ণা, বোম্বা, নারায়ন, শিব এবং রাম লক্ষণ পূজিত হয়ে থাকেন। আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়।

প্রাচীন সেই রীতি-রেওয়াজ মেনে আজও হয়ে আসে জেলার সর্ববৃহৎ এই লক্ষ্মী পুজো। পুজো উপলক্ষে পাঁচদিন মেলা বসে। বিসর্জনের দিন নৌকায় করে দেবী লক্ষ্মীকে পুরাতন মালদার সদরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এই উপলক্ষে মেলা বসে। এরপর আবার কোঠাবাড়ি তে নিয়ে আসা হয় মাকে।

এরপর মহানন্দা নদীতে মায়ের বিসর্জন পর্ব করা হয়। এই বিষয়ে ওই পরিবারের সদস্য বিশ্বনাথ রায় জানান, স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর শুরু হয়েছিল। প্রাচীন সেই পরম্পরা মেনেই আজও পূজিত হয়ে থাকেন জেলা সর্ববৃহৎ এই লক্ষ্মী প্রতিমা। তবে এ বছর করোণা সংক্রমণের জেরে কিছুটা হলেও প্রাচুর্য কমেছে।

অন্যদিকে এই বিষয়ে প্রতিমাশিল্পী জ্যোতির্ময় পাল জানান, পূর্বপুরুষ অনুযায়ী এই প্রতিমা বানিয়ে আসছেন তারা। এর আগে তার বাবা প্রতিমা বানাতো। এই পূজার মাহাত্ম্য লক্ষীর সাথে অন্যান্য দেবদেবী পূজিত হন।