অবতক খবর,১৫ ফেব্রুয়ারি: নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কাঁচরাপাড়া পৌরসভা বিরোধী রাজনৈতিক দলকে গুরুত্ব দিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য কাজ করল এমনই স্থানীয় মানুষদের অভিজ্ঞতা। কাঁচরাপাড়া লেনিন সরণিস্থিত সিপিএমের সদর দপ্তরটি প্রায় শতাব্দী প্রাচীন। রাজনীতি যাই হোক, শ্রমিক শ্রেণী মেহনতী মানুষের পক্ষে এই কমিউনিস্ট পার্টির অফিসটি গড়ে উঠেছিল। কাঁচরাপাড়া শ্রমিক অধ্যুষিত অঞ্চল। এখানে রয়েছে ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপ।

এই রেলওয়ে ওয়ার্কশপে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন জ্যোতি বসু, নিত্যানন্দ চৌধুরী, বঙ্কিম মুখার্জী। পরবর্তীকালে শান্তি ঘটক, মহঃ আমিন, মহঃ ইসমাইল এবং বিজয় মোদকের মত বিপ্লবী নেতারা। এর সঙ্গে স্থানীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য কমিউনিস্ট ব্যক্তিত্ব অমূল্য উকিল এবং জগদীশ দাস জড়িত ছিলেন। এটি ছিল প্রথম লাল ঝাণ্ডার অফিস। ‌এই অফিসে পলাতক জীবন কাটিয়েছেন জ্যোতি বসু।‌ বর্তমান শাসকের রাজত্বকালে বিরোধী রাজনীতিকে দলন করার উদ্দেশ্যে এই পার্টি অফিসের সামনে শাসক শ্রেণীর চক্রান্তে
একটি বিশাল দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের দোকান বসিয়ে দেওয়া হয় এবং পিডব্লিউডি অধিকৃত এই জমিতে সম্পূর্ণ স্থায়ীভাবে লোহার ধাঁচা দিয়ে দোকান তৈরি করা হয় এবং তারই পাশে একটি বাসস্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়। আসলে বামপন্থী রাজনীতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্যই এই কাজটি করা হয়েছিল। ফলত সেই অফিসের যাত্রাপথ অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে পড়ে।

ওই খাবারের দোকানটিতে ব‍্যবহৃত গ্যাস ওভেন, গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে যে কোনো সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। কিন্তু সৌভাগ্যবশত তা ঘটেনি। কিন্তু সেই সমস্ত গ্যাস সিলিন্ডার ঘেষে পার্টি কর্মীদের তাদের সদরদপ্তরে যাতায়াত করতে হত। দীর্ঘ আন্দোলন এবং ঁপ্রতিবাদে এই বাধাটি অপসারণ করা হল। এআজ পৌরসভার নেতৃত্বে লোহার কাঠামো এবং অন্যান্য যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ছিল দপ্তরের সামনে তা অপসারণ করা হল।‌ কাঁচরাপাড়ার ইতিহাসের রাজনৈতিক সৌহার্দ্য ও সংহতি সৃষ্টিতে এটি নগর প্রশাসন অর্থাৎ পৌর প্রশাসনের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা হয়ে থাকবে।