এবার আরেক আতঙ্ক। ভুলে যাও নিজের নাম, ভুলে যাও বাপের নাম। খুলে ফেলো দোকানের সাইনবোর্ড, বাড়ির দরজা থেকে খুলে ফেলো নেমপ্লেট। পরিচয় লুকাও। পরিচয়ের চেয়ে প্রাণ বড়ো।
প্রাণ বাঁচাও! প্রাণ বাঁচাও!

লুকাও পরিচয়
তমাল সাহা

কী ভয়! কী ভয়!
মানুষ খুলে ফেলছে দোকানের সাইনবোর্ড।
খুলে ফেলছে বাড়ির নেমপ্লেট।

যদি চিনে ফেলে তাকে,
জেনে যায় তার পরিচয়!

দাঙ্গার হাত আছে সে তো জানি,
নাহলে কি করে হয় এত খুন?
মহল্লায় মহল্লায় জ্বলে ওঠে আগুন।

এখন দেখি দাঙ্গার চোখও আছে।
শুধু চোখ নয় তীব্র তার দৃষ্টি।
যতক্ষণ যতদিন পারা যায় লুকোও নিজেকে।
রাষ্ট্র তো পাশে নেই,
রুখতে চেষ্টা করো নিজেই নিজের মৃত্যু– এই অনাসৃষ্টি।

পালাবে, পালাবে কোথায়?
পৃথিবীটা তো গোলাকার—
সার্কাসের তাঁবু ঘেরা এরিনা, আটকে যাবে কাঁটাতারে, ওই পর্যন্ত তো তার সীমানা।

দাঙ্গার নাক আছে, কান আছে।
গন্ধ শুঁকে, ফিসফিস কথা শুনে
বলে দিতে পারে
কে থাকে কোথায়, কোন মহল্লায়।
চিহ্নিত করে শনাক্ত করে
দাঙ্গা তার বিধ্বংসী কাজ করে যায়।

দাঙ্গার বীভৎস মুখ আমি দেখিয়াছি,
তার নৃশংস রূপ দেখিতে চাই না আর।
দাঙ্গা তোর পায়ে পড়ি, নতজানু হই, হাতজোড় করি, ক্ষমা দে, মাপ কর এবার।