অবতক খবর,৬ জুলাইঃ আজ সকালে ঝাড়ুদার অফিস পরিষ্কার করতে এসে দেখে যে বড় বাবুর ঘরের পিছনের ভেন্টিলেটর ভাঙ্গা এবং দরজা উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ঝাড়ুদার সাব রেস্টারকে ফোন করে সমস্ত কিছু জানান। বেলা দশটায় অফিস খোলার পর এই ঘটনা অফিস থেকে থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়।

থানা থেকে আই ও তিনি এসে সমস্ত কিছু দেখে চলে যান। এই ব্যাপারে লালবাগ সাব রেজিস্টার হুমায়ুন কবীর তিনি বলেন যে টাকা-পয়সা কোনরকম খোয়া যায়নি কিন্তু কোন কাগজপত্র খোয়া গিয়েছে কিনা সেগুলি এখন বলা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি তিনি বলেন এই রেজিস্ট্রি অফিস এবং বিএলআর অফিস এখন দু জায়গায় অবৈধ কাজকর্ম হয়ে থাকে, এই ব্যাপারে কিছুদিন আগে রানীনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন একটি দৈনিক পত্রিকায় বলেছিলেন যে রেজিস্ট্রি অফিস এবং বি এল আর ও অফিসে একটি জমি মাফিয়া চক্র স্টেটের জাগা বিক্রি করে এবং এবং অন্যের জাগা জমি নিজের নামে এই চক্র দলিল করে নিচ্ছে।

সেইসব তথ্য অফিস থেকে দূর করার জন্যই কি এই চুরি। স্থানীয় জনগণ জানাই যে যেখানে এত দরকারি কাগজপত্র ,টাকা পয়সা মাঝেমধ্যে থাকে সেই অফিসে কিছুদিন আগে নাইটগার্ড রিটায়ার করার পর থেকে কোন রকম নাইটগার্ড নাই।

শুধু লালবাগ রেজিস্ট্রি অফিস নয়, কিছুদিন আগে শক্তিপুর এবং সাগরদিঘী অফিসেও এরকম চুরির ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কোনরকম অফিস কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

অনেকেই বলছে জমি মাফিয়াদের কাজকর্ম যাতে প্রমাণ না থাকে তার জন্যই এই চুরি। কারণ অফিসের টাকা-পয়সা খোয়া যায়নি কিন্তু কাগজপত্র খোয়া গেছে কিনা তা সাব রেজিস্টার হুমায়ুন কোবির বলতে পারছেন না।