লক্ষ লক্ষ টাকা ধার করে বিশ্বকাপ দেখতে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে বৈদ্যবাটীর বাসিন্দা

অবতক খবর,২২ নভেম্বরঃ ফ্রান্স থেকে কাতার, সপ্তম বারেও বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে ফের বিদেশ পাড়ি দিচ্ছেন বৈদ্যবাটীর পঙ্কজ ঘোষ। নিজের জমানো টাকায় কুলোয়নি। কিন্তু তবুও তার নেশা থেকে দূরে সরেননি তিনি । ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে হয়েছিল বিশ্বকাপ। সেটাই পঙ্কজের চোখে দেখা প্রথম বিশ্বকাপ। তারপর থেকে টানা সাত বছর বিশ্বকাপে পাড়ি দিয়েছেন এই বারে কাতারে যাচ্ছেন আগামী ৯ ডিসেম্বর। সেমিফাইনাল থেকে ফাইনাল মোট চারটি ম্যাচ দেখবেন সেখানে। প্লেনে যাতায়াত, থাকা-খাওয়া, খেলা দেখার টিকিট— সব মিলিয়ে খরচ প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা।

জমানো টাকায় কুলোই হয়নি তাই প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন একটি ব্যাংক থেকে।পঙ্কজ নিজে দীর্ঘদিন ফুটবল খেলেছেন। পরে কোচিংয়ে আসেন। ১৯৮৬ সালে কোচিংয়ের ডিগ্রি অর্জন করেন পরে রাজ্য ফুটবল সংস্থার সহকারী কোচ হিসাবে কাজ করেছেন। বর্তমানে বৈদ্যবাটী চৌমাথা স্পোটিং ক্লাবের মাঠে কোচিং করেন। বর্তমানে তিনি একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করেন।

পঙ্কজ জানান, ফ্রান্সের পরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ দেখেছেন। ইউরো কাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা আমেরিকা কাপও দেখেছেন। । শুধু সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি । ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল উরুগুয়ের যে মাঠে হয়েছিল, সেই ‘এস্তাদিও সেন্ডেনারিও’ স্টেডিয়াম দেখে এসেছেন তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে একই হোটেলে ছিলেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার দুঙ্গার সঙ্গে। এক টেবিলে প্রাতঃরাশ সেরেছেন। বিভিন্ন দেশের পতাকা,স্মৃতি, জার্সি, বিশ্বকাপের লোগো, তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। তাঁর প্রিয় দল ব্রাজিল। এই বছরও সেই দল কেই সমর্থন করছেন তিনি ।এবং তিনি চান যাতে তার দলের জয় হয় ।

পঙ্কজ বলেন ফ্রান্সে যে বার বিশ্বকাপ দেখতে যান সেই সময় মাইনে পেতেন মাসে ২৬০০ টাকা। বন্ধুবান্ধবদের থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল হয়েছিল ১৯৩০ সালে। ৮ বছর পরে তার শতবর্ষ। সেই বিশ্বকাপেও যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। তিনি জানান এবারেও তার হতে চলেছে অন্যরকম ।