অবতক খবর,১৮ অক্টোবর,বাঁকুড়া:- লক্ষ্মী পুজোর আগেই ফুল চাষিদের মাথায় হাত দুয়ারে নিম্নচাপ।

গত কয়েকমাসে বাঁকুড়া জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কয়েকটা প্রবল বৃষ্টিপাত, যার জেরে চাষাবাদ থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের জীবনযাত্রা বিদ্ধস্ত এবং বির্পযস্ত। এখনো তার মাসুল অবিরত গুনে যেতে হচ্ছে প্রান্তুিক খেটে খাওয়া এই মানুষগুলোকে। এর প্রভাব থেকে বাদ যায়নি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের পানশিউলি গ্রামের ফুল চাষীরাও। বছরের এই শারদীয়ার মরশুমের দিকে চেয়ে থাকে এই চাষীরা,তারা আশায় বুক বাঁধে যে সারাবছরের তাদের পরিশ্রমের মুল্য হয়তো তারা পাবে কিন্তু বালাই ষাট দক্ষিনবঙ্গের ঘোর বর্ষা খড়কুটোর মতো সব ভাসিয়ে দিয়েছে।

দুর্গাপূজো শেষ, বাজারে চাহিদা মতো ফুল যোগান দিতে পারেনি তারা বর্ষার জেরে বিদ্ধস্ত হয়েছে তাদের বাগান। যা হবার হয়ে গেছিলো এসবের পরেও আসন্ন লক্ষীপূজোতে তারা আশা করেছিল তাদের চাষ করা ফুল বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তারা যোগান দিতে পারবে এবং কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখবে কিন্তু আবার এক নিম্নচাপ দেখা দেয়। ধনপতি দে নামে এক ফুলের ব্যবসায়ী জানান, “এক বিঘা ফুলের চাষ করতে খরচ হয় প্রায় কুড়ি হাজার টাকা,যে টাকা তারা মহাজন থেকে নিয়ে চাষ করে কিন্তু লাভের মুখ দূর অর্ধেক টাকাও উঠে আসবে না”।রাজ্য সরকার অনেকভাবে উৎসাহিত করছে হয়তো চাষীদের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ দিয়ে,কিন্তু প্রান্তিক এই পানশিউলি গ্রামের ফুলচাষীরা এখনো পর্যন্ত বঞ্চিত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে।ফুল যা বিভিন্ন রকম পুজোর জন্য লেগেই থাকে সেই ফুলের চাষীদের এরূপ অবস্থা সত্যিই উদ্বেগজনক।

বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত জানান, “ফুল চাষীদের এরকম অবস্থার কথা তাদের দৃষ্টির অগোচরে এসেছে,সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরের সাথে কথা বলে যা ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখা হচ্ছে”।

শাল,পলাশ,ইউক্যালিপটাসে ঘেরা এই প্রান্তিক গ্রামগুলোতে ফুল চাষ করে পেট চলে চাষীদের,অনেক কিছু চাষের পাশাপাশি ফুল চাষ তাদের লাভের অন্যতম হাতিয়ার।সেই ফুলচাষে বর্ষার জেরে এরকম বিরূপ প্রভাব হয়তো মনোবল ভেঙে দিচ্ছে ঐ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর।তারা করুন চোখে রাষ্ট্রকে সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছে যেন বারবার।