মলয় দে :: নদীয়া ::     প্রাচীন ভারতবর্ষে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো যোগ ৷ সেই প্রাচীন পদ্ধতি কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছে অনেক আগেই ৷ আধুনিক সভ্যতা এবং আধুনিক বিজ্ঞানও যোগের কার্যকারীতা স্বীকার করে নিয়েছে ৷ আসলে যোগের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নিয়ন্ত্রীত ব্যবহার এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সঠিক চলাচল শরীর মনকে শান্ত রাখে ৷ মনের একাগ্রতা বাড়ায় ৷ সঠিক যোগাভ্যাসে এক স্বর্গীয় আনন্দ বা আধ্যাত্মিক উপলব্ধি হয় ৷ ভারতবর্ষের অধিকাংশই সাধকই যোগ ব্যায়াম করায়াত্ব করেছিলেন ৷ চিরন্তন সত্য ভারতবর্ষের যোগা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ আজও অনুশীলন করে ন ৷ পাশ্চাত্য এবং উন্নতদেশগুলির ভোগী মানুষ ভোগ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে তারাও আজ যোগের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যোগা অনুশীলন করেছেন ৷

২০১৪ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী রাষ্ট্র সংঘের অধিবেশনে ভাষন দেওয়ার সময় ২১শে জুন তারিখটিকে বিশ্ব যোগা দিবস হিসাবে ঘোষনা করার প্রস্তাব দেন ৷ এরপর রাষ্ট্র সংঘে দীর্ঘ আলোচনার পর ঐ বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্র সংঘ ২১শে জুনকে আন্তঃর্জাতিক যোগা দিবস হিসাবে ঘোষনা করেন ৷ রাষ্ট্র সংঘের নির্দেশ অনুযায়ী পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের ২১জুন বিশ্বের সমস্ত দেশে ঐ দিনটিকে যোগ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয় ৷ এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যোগা চালু থাকলেও রাষ্ট্র সংঘের ঘোষনার পর আরো গুরুত্ব বাড়ে যোগার ৷

বর্তমানের করোনা পরিস্থিতিতেও যোগ ব্যায়াম কার্যকরী বলেই দাবী করছেন যোগ প্রশিক্ষকরা ৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন করোনা মোকাবিলায় ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোয় নাকি একমাত্র ওষুধ ৷ নিয়মিত যোগ ব্যায়াম অভ্যাসে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ে ৷ ফলে করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা কমে ৷
শান্তিপুর তথা নদীয়া যোগ ব্যায়ামের অন্যতম পীঠস্থান ৷ ভারতীয় যোগের আন্তর্জাতিক ক্ষাতি এনে দিয়েছিলেন শান্তিপুরের শ্যামসুন্দর গোস্বামী ৷ কৃষ্ণনগরের শ্যামা চরন লাহিড়ী যোগ সাধক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ৷
শ্যাম সুন্দর গোস্বমীর শান্তিপুরে আজোও যোগ ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রশিক্ষন দেন শান্তিপুরের বেশ কয়েকটি ক্লাব ৷ শান্তিপুরের বেশ কয়েকজন মানুষ আন্তর্জাতিক স্তরে স্বর্ন পদক লাভ করেছেন ৷ এবছরই শান্তিপুরের সীমা বসাক ইন্দ্রনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত আন্তঃর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ৷ এরকমই বহু প্রতিভশান্তিপুর নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন প্রান্তে।