অবতক খবর , সুজিত , হুগলি :- রিষরায় হয়ে গেল উত্তরপাড়া শ্রীরামপুর ব্লকের কর্মী সম্মেলন।নতুন কমিটি গঠনের পর নতুন ব্লক সভাপতি নিখিল চক্রবর্তীর কাছে প্রথম সম্মেলন ছিল চ্যালেঞ্জের।কিন্তু তাতে স্বমহিমায় উতরে গেলেন ব্লক সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী।রিষড়া মোল্লাবেরে তৃনমূলের সমাবেশ থেকে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বললেন, সিবিআই এর হাত থেকে বাঁচতে আরো অনেকেই যাবে কিচ্ছু এসে যায় না।

কেউ কেউ দু বছর আগেই কমিটমেন্ট করে রেখেছে নির্বাচনের আগে চলে আসব। যাবে আরো অনেকেই যাবে।দিলীপ ঘোষেরা তো বলতো তৃণমূল নারোদা সারদা রোজভ্যালি তে অভিযুক্ত। যেসব নেতারা ওদের যোগদান , তারা প্রথম সারিতে।শুভেন্দুর নাম না করে বলেন, যারা বিপ্লব করছেন , বিপ্লব করুন। যারা বলেছিলেন রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে,যারা চান রাজনীতির ময়দানে দেখা হবে সেইদিন বেশি দেরী নেই।মে মাস ২০২১ প্রমান হয়ে যাবে কে কত বড় বীর।শ্রীরামপুরের তৃনমূল সাংসদ আরও বলেন আমরা দিদির সৈনিক।শ্রীরামপুরে কোনো দাদা দিদি নেই।মানুষ বিশ্বাস করে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ২০২১ এ ২০০ সিট নিয়ে ক্ষমতায় আসবে।যারা দিনে তৃনমূল সন্ধায় দাদা দিদি করবে দলের মধ্যে থেকে তাদের ক্ষমা করবেন না।বিশ্বাস ঘাতকতা যারা করবে , তাদের মানুষ জবাব দেবেন।সারা শ্রীরামপুরে একটাই ফ্লেক্স থাকবে , আমরা দিদির সৈনিক অন্য কোনো ফ্লেক্স মানব না।অধীর চৌধুরী বলছেন তৃনমূলের অন্তর্জলী যাত্রা হচ্ছে।আমি বলি অধীর বাবু আপনি যেদিন থেকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হলেন ,সেদিন সারা ভারতে কংগ্রেসের অন্তর্জলী যাত্রা দেখে নিয়েছেন।ওকে কেউ মানে না।কেরলের কং এমপিরা এসে আমাকে ডাকে।

 

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরী।আমি জানি উনি আমাকে আবার গালাগাল করবেন ওনার যেমন সংস্কৃতি তেমন শব্দ চয়ন করে শব্দ প্রয়োগ করবেন । কিন্তুটা সত্য।পার্লামেন্টে পিছন দরজা দিয়ে কতবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান।কতবার চিরকুট পাঠিয়ে বিজেপি এমপি দের দিয়ে কতবার তৃনমূল মমতার বিরুদ্ধে বলিয়েছেন, সে তো আমার চোখের সামনে।

মুর্শিদাবাদের মাটিতে মির্জাফরের জন্ম হয়েছে , আবার মুর্শিদাবাদের মাটিতেই অধীর চৌধুরীর জন্ম হয়েছে।রাজ্যপাল বলছেন সুন্দর করে অবাধ নির্বাচন করতে চাই।তাই আমার বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ আনা হচ্ছে।রাজ্যপাল আপনি যেটা করছেন , আগামী দিনে বিজেপির এজেন্ডা ফিলআপ করার জন্য , বিজেপিকে জয়ী করার জন্য ,রিগিং করার পদক্ষেপ নিচ্ছেন।সব ক্রিমিনাল গুন্ডাদের নিয়ে।শুনুন জগদীপ ধনকর যদি ৩৫৬ করেন তাহলে কলকাতার রাস্তায় আপনার গাড়ি চলবে না।