সুদেষ্ণা মন্ডল :: অবতক খবর :: ১৫ই,নভেম্বর :: দক্ষিণ ২৪ পরগনা :: ট্রলার ডুবিতে উদ্ধার নিখোঁজ দশ মৎসজীবির দুই জনের দেহ উদ্ধার। সোমবার রাতে উদ্ধার হয়েছিল ট্রলার ডুবির ৩ জন মৎস্যজীবীকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের নাম শিরাজ্জুল সেখ,তপন গিরি,বাসুদেব মুদি।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন কোষ্টাল থানার ছাইমারি দ্বীপ এলাকায়।

আজ দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে লুৎফর মুদি ও রেণুপদ মিরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।স্থানীয় ও মৎস্যজীবী সূত্রে জানা গিয়েছে রায়দিঘী,পাথর প্রতিমা প্রতিমা এলাকার বাসিন্দা মৎস্যজীবী তপন গিরি,শিরাজ্জুল সেখ,বাসুদেব মুদি,যাদব প্রধান,লৎফর মীর,রেনুপদ মুদি,মহীন্দ্র বিশ্বাস,শম্ভু দাস,চন্দন দাস,গোবিন্দ দাস এফবি সাগর কন্যা-১ ট্রলারে করে গত ৩ নভেম্বর রায়দিঘী জেটিঘাট থেকে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্য।

মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে আপন মনে মাছ ধরতে থাকে বেশ কয়েক দিন ধরে।মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরে ট্রলার নিয়ে ফিরে আসার কথা ছিল ১৩ নভেম্বর।কিন্তু মাছ পথে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে তছনছ হয়ে যায় ট্রলার।ফলে নিরুদ্দেশ হয়ে পড়ে মৎস্যজীবীরা জল পথে। গত ৮ নভেম্বর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে সমুদ্রে জলের ঢেউ উথাল পাতাল করে তোলে।ঢেউয়ের তোড়ে ছাইমারি দ্বীপ এলাকায় বিদ্যা নদীতে এফবি সাগর কন্যা-১ ট্রলারটি ডুবে যায়।

জলের টানে তলিয়ে যায় ট্রলারে থাকা ১০ জন মৎস্যজীবী।এদের মধ্যে ৩ জন মৎস্যজীবী শিরাজ্জুল সেখ,তপন গিরি,বাসুদেব মুদি কোনমতে সাঁতার কেটে ছাইমারি দ্বীপের জঙ্গলের পাড়ে গিয়ে ওঠে।এদিকে জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ।সব ভয়কে অতিক্রম করে ৩ জন মৎস্যজীবী বাঁচার তাগিতে তাদের আশ্রয়স্থল জঙ্গলকেই বেঁচে নেয় ।

তারা বুদ্ধি করে গায়ের জ্যাকেট জামা নদীর পাড় লাগয়া জঙ্গলের গাছে ঝুলিয়ে দেয়।যাতে কেউ দেখতে পেয়ে বুঝতে পারে এখানে কেউ আছে।তবে ট্রলারের আরও ৭ জন মৎস্যজীবী জলের তোড়ে কোথায় ভেসে গেছে তা এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি।এদিকে বুলবুলের তান্ডবের পর গত ১১ নভেম্বর রায়দিঘী থেকে বেশ কয়েকটি ট্রলার নিখোঁজ দের খোঁজে বের হয়।তারা জল পথে খুঁজতে খুঁজতে ছাইমারি দ্বীপ এলাকায় এলে দেখতে পায় গাছে জ্যাকেট জামা ঝুলানো।আর এই দ়ৃশ্য দেখে তাদের সন্দেহ হয়।

তারা ট্রলার নিয়ে জঙ্গলের পাড়ে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।জঙ্গল থেকে তারা উদ্ধার করে ডুবে যাওয়া ৩ জন মৎস্যজীনবীকে।এদিন রাতে ৩ জনকে তারা রায়দিঘী জেটিঘাটে নিয়ে আসে। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীরা সুস্থ আছে। রায়দিঘী ফিসারম্যান ওনার্স ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবীন দাস বলেন ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে এফবি সাগর কন্যা-১ ট্রলারটি ডুবে।ট্রলারে ১০ জন মৎস্যজীবী ছিল।ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার ফলে নিখোঁজ ছিল ১০ জন মৎস্যজীবী।

গত ১১ নভেম্বর রাতে ছাইমারি দ্বীপের্ জঙ্গল থেকে মৎস্যজীবীরা ৩ জনকে মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে রায়দিঘী নিয়ে আসে।এখনও এই ট্রলারের ৭ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ।নিখোঁজদের খোঁজে মৎস্যজীবীও কোষ্টাল পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি করছে জল পথে। বিভাগীয় দফতর গুলি সব ধরনের সহযোগিতা করছে।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। পুলিশ জানান ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৩ জন মৎস্যজীবী জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে আজ দুই জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে।