পাঁচ বছর আগের একটি ঘটনা। নিজেরাই বিচার করুন

সত‍্যি রাম কি ছিল? দশেরা উৎসব ,১৯ অক্টো’১৮ রাবণবধ দেখতে গিয়ে অমৃতসর এক্সপ্রেসে ট্রেন দুর্ঘটনায় মরল মানুষ। রামচন্দ্র কাউকে কি বাঁচাতে পারলো?

রাম বনাম রাবণ
তমাল সাহা

এসো, এবার একটি সত্য ঘটনা শুনি।
কি করে একটি ট্রেন হয়ে যায় খুনি।
বিজয় উৎসব,
সে তো আনন্দ উল্লাসের কলরব।
অথচ গিয়ে দেখি
ছড়িয়ে আছে শত শত মানুষের শব।

অমৃতসর এক্সপ্রেস– ভারি সুন্দর নাম।
এতো মানুষ তোমার পক্ষে,
হায় এ কি করলে রাম!
রামচন্দ্র নিক্ষেপ করছিল এক একটি অগ্নিজ্বালামুখী বাণ।
রাবণের এক একটি মুখ পুড়তে থাকে
ধুঁকেধুঁকে যন্ত্রণায় দশানন মুহ‍্যমান।

হাজার হাজার মানুষ দেখে
সেই রাবণবধের দৃশ্য।
ট্রেন কি রাবণের পক্ষে ছিল?
দর্শকের নিষ্ঠুরতা কি ছিল
তার কাছে অসহ্য?
ট্রেন বলে, তোমরা মানুষ!
এতো নির্মম খুনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করো?
এর পরেও সেলফিতে করো বন্দী?
রাবণের পক্ষ নিল কি অমৃতসর!
মনে মনে তার প্রতিশোধের ফন্দি?
দুরন্ত গতি তার,
ছুটে এল ঘটালো নির্মম দুর্ঘটনা।
এর পরেও রাম আছে, চলতে থাকে রটনা।

মানুষ এত নির্বোধ, দাঁড়িয়ে আছে লাইনে!
এই নাকি বুদ্ধিমান প্রাণী!
নিয়ম ভাঙ্গে কোন আইনে?
দশেরায় এতো রামের ভক্ত!
কোথায় রাম!করেনি তো রক্ষা?
রাম আছে কি নেই হনুমানেরা চেয়ে থাকে,
কে দেবে এর ব্যাখ্যা?

দশেরা নাকি বিজয় উৎসব,বিজয়া—
রাবণবধের সঙ্গে
ঘরে ফেরে মৃত মানুষের ছাই।
একজন শুধু দেখে আর হাসে
বাতাসে শব্দ ভাসে— রাম নাই, রাম নাই।