রাজ্যজুড়ে সাড়ম্বরে পালিত রামনবমী
বয়স বাড়ছে। ফলে আমার ভক্তিযোগ বাড়ছে। ইদানিং আমি খুব রামভক্ত হয়ে পড়েছি। তাই রাম নবমীর দিন গঙ্গাস্নান সমাপনের পর শুদ্ধ মনে রামাবলী লিখতে বসেছি। তবে আগেভাগেই স্বীকার করে নিচ্ছি রাম সম্বন্ধে আমার জ্ঞান সীমিত। ভুল ভ্রান্তি মাফ করবেন নিজ গুণে।
রামনবমী
তমাল সাহা
১)
হে ভারত ভূমি!
কবে হবে ভাতভূমি?
রামায়ণে ভাতের কথা লেখা নেই
আজ শুভ রামনবমী।
২)
ছোড়ো বাণ!
দিল্লিতে রাম
বঙ্গে সীতা
করো খান খান।
৩)
গাঙ্গেয় উপত্যকায় একটি রাজ্য ছিল যেখানে রামমোহন বিদ্যাসাগর রবীন্দ্রনাথ এমন কি ডিরোজিও বাস করতেন।
সেখানে নাকি এখন আর কোনো মানুষ বাস করে না, রাজ্যটি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
উপত্যকা জুড়ে বিস্তীর্ণ হয়ে আছে উইয়ের ঢিবি। ঢিবিগুলি খনন করে হয়তো পাওয়া যাবে কোনো বাল্মিকী মুনি।
তিনি নয়া রামায়ণ লিখবেন!
আবার রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষ খিদের কথা ভুলে যাবে শুধু রামধুন গাইবে।
৪)
রামকে কেউ কোনোদিন ভাত খেতে দেখেনি।
বনবাসে তার খুব কষ্ট হয়েছিল।
সে খেতো শুধু বনের ফলমূল।
রামায়ণে খাদ্যের দাবিতে কোনো বিক্ষোভের কথা লেখা নেই।
এখন মানুষের পেটে এত রাক্ষসী খিদে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
৫)
রামকে না দেখা গেলেও রামনবমীর মিছিলে হনুমানের সংখ্যা বাড়ছে।
বনে যে নররা ছিল যাদের বানর বলা হত তারা এখন গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরো জানা গেছে, মিছিল তারাই প্রথম আবিষ্কার করেছে বলে বামপন্থীদের যে দাবি ছিল তা ভুল বলে প্রমাণ হয়েছে।
রাম নবমীতেই পৃথিবীর প্রথম মিছিল শুরু হয়েছিল এবং সেটা ছিল সশস্ত্র মিছিল, তাতে গদা তরবারি তীর ধনুক এবং গেরুয়া পতাকা প্রদর্শিত হয়েছিল।
৬)
খিদে ভুলে যাবার দুটি মন্ত্র!
একটি হলো, রাম নাম কেবলম
দ্বিতীয়টি হলো, রাম নাম সচ হ্যায়
৭)
গান্ধীজীর মৃত্যুকালীন শেষ উচ্চারণ ছিল, হা রাম!
আমি শুনেছিলাম, হারাম!
গান্ধীজির খুনীর নামের সঙ্গেও যুক্ত ছিল রাম শব্দটি!
৮)
আমরা দুটি একই ধর্মী দল, সাইনবোর্ড শুধু আলাদা
ধর্মই আমাদের রাজনীতি, আমরা ধর্মভীরু লোক।
আমরা রামভক্ত এই বলে আমাদের পরিচিতি হোক!