অবতক খবর,২১ মার্চঃ রানীনগর থানার গোধনপাড়া এলাকায় কংগ্রেস কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, সোমবার বিকেলে ডোমকলের কুঠি মোড় এলাকায় কংগ্রেসের সভা ছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাগরদিঘী বিধানসভার সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। সেই সভায় রানীনগর থেকে প্রচুর কংগ্রেস কর্মী সমর্থক ডোমকলে বাইরন বিশ্বাসের সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষ করে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় রানীনগর TVS শোরুমের সামনে কংগ্রেস কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা যায়,কংগ্রেস কর্মীরা টোটোতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় লোহার রড,বাশ দিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। একজন কংগ্রেস কর্মীর মোটর বাইক ভাংচুর করা হয়।

পাশাপাশি রব্বান আলী নামের একজন কংগ্রেস কর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় মোট ছয় থেকে সাতজন কংগ্রেসের কর্মী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর মোট পাঁচ জনের নামে রানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে রানীনগর-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শাহ আলম কংগ্রেস কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন,কালীনগর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান মনিরুল ইসলাম গোধনপাড়া এলাকায় বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় কংগ্রেসের কর্মীরা ঝান্ডা হাতে নিয়ে তৃণমূলের প্রধানকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তারপর প্রধানকে মারধর করায় সাধারণ মানুষ কংগ্রেস কর্মীদের আটকায় বলে দাবি করেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শাহ আলম সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। যে কোন সময় পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় শাসক দলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠল। তাহলে কি শাসক দল সাগরদিঘী বিধানসভার নির্বাচনে পরাজিত হয়েই বিরোধীদের ওপর হামলা করছে। এমন প্রশ্ন কিন্তু উঠছে রাজনৈতিক মহলে।