অবতক খবর,২২ জানুয়ারি:বসিরহাট: ওমিক্রন কাঁটার মধ্যেই নতুন আতঙ্কে দেখা দিয়েছে হাসপাতালের নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে। একদিকে করোনার আতঙ্ক, অন্যদিকে নার্সিং কলেজের এই নতুন শঙ্কায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল চত্বরের নার্সিং ছাত্রী থেকে শুরু করে নার্স, শিক্ষিকা, ডাক্তার ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যে। কখনও পায়ে হেঁটে যাওয়ার আওয়াজ আবার কখনও দুমাদুম হাতুড়ি পেটানোর শব্দে তীব্র আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নার্সিং কলেজের আবাসিকরা। তাহলে এই আওয়াজের পিছনে কি কোন ভৌতিক যোগ..? যদিওবা ‘অশরীরী’ আতঙ্কের কথা স্বীকার করল কর্তৃপক্ষও। কিন্তু অন্যদিকে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সারা বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন। সেই আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। বসিরহাটে সেই ছবির অন্যথা না হলেও এক নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে মহিলাদের জিএনএম নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে। সেখানকার ছাত্রীরাদের সুত্রে জানা গিয়েছে, রাত হলেই ক্যাম্পাস জুড়ে শোনা যাচ্ছে একাধিক অদ্ভুত আওয়াজ। বিশেষ করে নার্সিং কলেজের হোস্টেল থেকে বেশি আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। কখনও কারও হেঁটে যাওয়ার শব্দ তো কখনও বা কোনও ভারী জিনিস দিয়ে ছাদে আঘাত হানার শব্দ। সেই শব্দে নাজেহাল হচ্ছে নার্সিং কলেজের ছাত্রীরা। কিন্তু সেই শব্দের উৎসের সন্ধান করা যাচ্ছে না।

এদিকে, সামনেই ছাত্রীদের সেমেস্টারের পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু এই আওয়াজে তাদের পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। ভয়ে-আতঙ্কে পড়াশোনায় ঠিকঠাক ভাবে মনঃসংযোগই করতে পারছেন না। নিদ্রাহীনতায় কাটছে রাত। সারাক্ষণ তাঁরা ভাবছেন ওটা কীসের আওয়াজ…? অবিলম্বে পড়ুয়ারা চাইছেন এই সমস্যার সমাধান হোক। নয়তো ওই হোস্টেলে আবাসিক হিসেবে থাকা এক প্রকার সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি তাঁদের।

এমনকী শুধুমাত্র রাতেই নয়, এই আওয়াজ মাঝে মাঝে নাকি দিনের বেলাতেও শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে আবাসিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীরা ছাদ থেকে এই ধরনের আওয়াজ পেয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এই ভৌতিক আওয়াজের উৎস ঠিক কী? সেটা এখনও অজানা। ইতিমধ্যে ব্যাপারটি নিয়ে সরব হয়েছেন এক ছাত্রীর অভিভাবক। তিনি বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গায়েনকে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও করেছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পর বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সুপারকে তিনি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর।

জিএনএম নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের প্রিন্সিপাল প্রতিকণা সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বসিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে বসিরহাট থানার পুলিশ এসে রাতে বেশ কয়েকবার ওই কলেজ চত্বরে তল্লাশি চালালেও সেখানে সন্দেহজনক কিছু না মেলায় এখনও পর্যন্ত এই আওয়াজের উৎসের কিনারা করতে পারেনি।